ফাইল চিত্র।
বিষাক্ত মাকড়সার কামড়ে পায়ের আঙুলে পচন ধরে গিয়েছে এক মহিলার। অর্চনা দে নামে বছর তেতাল্লিশের ওই মহিলা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
মেদিনীপুর মেডিক্যালের চিকিত্সক জয়দীপ পাল মানছেন, “ওই মহিলার পায়ের আঙুলে ‘গ্যাংরিন’ হয়েছে। অর্থাৎ, পচন ধরেছে।” তাঁর কথায়, “মহিলা জানিয়েছেন, তাঁকে ট্যারান্টুলায় কামড়েছে। বিষাক্ত মাকড়সায় কামড়ালে যে গ্যাংরিন হতে পারে, এই ঘটনা থেকে এটা বোঝা যাচ্ছে।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, মহিলার শারিরীক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যে অস্ত্রোপচার করে পচন ধরে যাওয়া আঙুলটি বাদ দেওয়া হতে পারে।
গত ১৭ মে রাতে ঘরের মধ্যেই বিষাক্ত মাকড়সায় কামড়ায় অর্চনাদেবীকে। লালমোহনবাবুর দাবি, “ওই মাকড়সা ট্যারান্টুলাই ছিল। কামড়ানোর পরে প্রচুর যন্ত্রণা হতে শুরু করে।”
বিষাক্ত মাকড়সার কামড় খেয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে আরও দু’জন ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের এক সূত্রে খবর, কৃষ্ণা শীট নামে সবংয়ের মনোহরপুরের এক শিশু ভর্তি রয়েছে। রেণুকা রাণা নামে মেদিনীপুরের শেখপুরার এক মহিলা ভর্তি রয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তথা জীববৈচিত্র বিশেষজ্ঞ অমলকুমার মণ্ডল বলেন, “ট্যারান্টুলা নিয়ে অযথা আতঙ্কের কিছু নেই। প্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যুর ভয় নেই। কিন্তু যথাসময়ে চিকিত্সার প্রয়োজন। কামড়ালে হাসপাতালে গিয়ে চিকিত্সা করানো জরুরি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy