প্রতীকী ছবি।
ওষুধের দোকানে গেলেই মিলছে যক্ষ্মার ওষুধ, কোনও কাগজপত্র ছাড়াই। ওষুধ দোকানিরা রোগীর নাম-ঠিকানাও খাতায় লিখে রাখছেন না। অথচ, যক্ষ্মার ওষুধ যাকে দেওয়া হবে তাঁর নাম- ঠিকানা খাতায় লিখে রাখার সরকারি নির্দেশ রয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোল মারফত তা স্বাস্থ্য দফতরে জানানোরও নির্দেশ রয়েছে। তার পরেও এমনটা চলায় ক্ষুব্ধ জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মানছেন, “এটা ঠিক, দোকানে গেলেই যক্ষ্মার ওষুধ মিলছে। ওষুধ দোকানিরা রোগীর নাম-ঠিকানা খাতায় লিখে রাখছেন না। বিষয়টি আমাদের নজরেও এসেছে। এর ফলে কাদের যক্ষ্মার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তা আমরা জানতে পারছি না। ফলে, রোগীর সংখ্যার হিসেবও করা যাচ্ছে না।’’ গিরীশচন্দ্রবাবুর হুঁশিয়ারি, “ওষুধের দোকানগুলোকে বারবার এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। তবু তারা শুধরোয়নি। অনিয়ম দেখলে এ বার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ফের আরও একবার ওষুধ দোকানগুলোকে সতর্ক করে দিতে চলেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের এক সূত্রে খবর, আগামী বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে এক বৈঠক হবে। বৈঠকে মেদিনীপুর মহকুমার ওষুধ দোকানিরা থাকবেন। যক্ষ্মার ওষুধ দেওয়া হলে রোগীর নাম-ঠিকানা লিখে রাখার বিষয়টি সেখানে জানানো হবে। পরে খড়্গপুর মহকুমা এবং ঘাটাল মহকুমাতেও এমন বৈঠক হবে। বৈঠকে ড্রাগ কন্ট্রোলের পাশাপাশি বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিডিএ) প্রতিনিধিরাও থাকবেন। স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, পাশাপাশি নজরদারিও চলবে। এ বার ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুঁ মারতে পারেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক-কর্মীরা। অনিয়ম দেখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে কয়েক বছর ধরেই যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জেলায় এখন প্রায় চার হাজার যক্ষ্মা রোগী রয়েছেন। জেলায় এখন ফি বছরই নতুন রোগীর খোঁজ মিলছে। জেলায় যক্ষ্মা বিশেষ করে প্রতিরোধী যক্ষ্মা কমাতে হলে সবস্তরে আরও সচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলে মানছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা মানছেন, “ফি বছর নতুন রোগীর খোঁজ মিলছে ঠিকই তবে আগের থেকে জেলার যক্ষ্মা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’’ এমন অবস্থায় ওষুধের দোকানিরা সাহায্য করলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলেই স্বাস্থ্য দফতরের আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy