ফাইল চিত্র।
এক সপ্তাহের অচলাবস্থার সমাপ্তি। শনিবার হলদিয়া বন্দরে উঠে গেল ট্রান্সপোর্টারদের (লরি চালক ও মালিক) ধর্মঘট।
এ দিন সকাল থেকে ছন্দে ফিরেছে বন্দর চত্বর। বন্দরের ভেতরে লরি চলাচল শুরু হয়েছে। সারা দিন ধরে সেখান থেকে এতদিন ধরে পড়ে থাকা কাঁচামাল এবং পণ্য বার হল জোর কদমে। এ দিন কাজে কোনও অসুবিধা হয়নি বলে জানাচ্ছেন আমদানিকারীরা।
সূত্রের খবর, গত কয়েক দিনের জটিলতা কাটাতে শুক্রবার গভীর রাতে বৈঠক ডেকেছিলেন বন্দরের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তথা হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদক। সেখানে বন্দর ও শিল্পাঞ্চল জুড়ে তৈরি হওয়া অস্থিরতা কাটানোর জন্য আন্দোলনকারীদের কাছে আর্জি জানানো হয়। একই সঙ্গে ট্রান্সপোর্টারদের যা কিছু সমস্যা এবং ক্ষোভ রয়েছে, তা দূরের আশ্বাস দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বন্দরে ঢোকা-বার হওয়ার সময় যে কার্ড জমা দিতে হয়, তা নিয়ে ক্ষোভ জমেছিল চালকদের। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কার্ড নিয়মমতো জমা দিলেও রক্ষমাবেক্ষণকারী সংস্থা তাঁদের কাছে মোটা অঙ্কের জরিমানা নিচ্ছে। একই অভিযোগ ছিল লরিরতে জিপিএস লাগানো নিয়েও। ওই সব সমস্যা সমাধান-সহ ১১ দফা দাবি জানিয়ে গত শুক্রবার থেকে ধর্মঘট করছিলেন ট্রান্সপোর্টাররা। মঙ্গলবার ধর্মঘট একদিনের জন্য শিথিল হলেও পরের দিনেই তা ফিরে গিয়েছিল পুরনো পরিস্থিতিতে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মরিয়া হয়ে পড়ে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। কারণ, হলদিয়ার কাজ বিঘ্নিত হলে কলকাতা বন্দরের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়বে। আগামী মঙ্গলবারই বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান জি সিন্থেলিভলের হলদিয়া যাওয়ার কথা। তখন ধর্মঘটকারীদের সঙ্গে আরও বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
আমদানিকারীরা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে তাঁদের কয়েক কোটি কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। এদিন ধর্মঘট তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে ট্রান্সপোর্টারদের নেতা শেখ রাজু বলেন, ‘‘দাবি পূরণ হয়নি। তবে সব দিক ভেবে ও শ্যামলবাবুর সঙ্গে বৈঠকের পরে ধর্মঘট থেকে সরে এসেছি। উনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। ভরসা রয়েছে।’’
এ ব্যাপারে শ্যামলবাবু বলেন, ‘‘কাজ বন্ধ রেখে সমস্যার সমাধান হয় না। তাই ডেপুটি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছি। বৈঠকের পরে ট্রান্সপোর্টারেরা ধর্মঘট তুলে নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়।’’ শ্যামলবাবুর কথায়, ‘‘হলদিয়া বন্দর ও শিল্পাঞ্চল সম্পর্কে শিল্পমহলের কাছে যাতে কোনও রকম নেতিবাচক বার্তা না পৌঁছায়, তাই শাসকদল উদ্যোগী হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy