এ ভাবেই বেঁধে রাখা হত আয়েশাকে। নিজস্ব চিত্র
রানিনগরের সুরজ শেখের পর এ বার হাতিনগরের আয়েশা সিদ্দিকা।
মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে দিনের পর দিন শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ওই কিশোরী মঙ্গলবার শিকলমুক্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের কর্তারা ফিরে যেতেই তাকে ফের শিকলে আটকে রাখা হয়। অবশেষে বুধবার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বহরমপুর মহিলা থানায় আনা হয়। প্রশাসনের তরফে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কিশোরীর পরিবারের দাবি, শিকল দিয়ে বেঁধে না রাখলে আয়েশা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দশ বছর আগে আয়েশার বয়স যখন আড়াই বছর, সেই সময় দুর্ঘটনায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিল সে। আয়েশার বাবা রবিউল শেখ এবং মা আলকুমা বিবি দুই ছেলেকে নিয়ে মুম্বইয়ে থাকেন। মর্জিনা এদিন বলেন, ‘‘নাতনিকে বেঁধে রাখতে আমারও কি কম কষ্ট হয়! কিন্তু উপায় কী, বলুন!’’ রবিউল এদিন ফোনে বললেন, ‘‘মেয়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতেই তো মুম্বইয়ে পড়ে রয়েছি।’’ এদিকে, ঘটনার কথা জানতে পেরে মঙ্গলবার দুপুরে আয়েশার বাড়িতে যান প্রশাসনের কর্তারা। তাঁরা আয়েশাকে শিকলমুক্ত করেন। কিন্তু তাঁরা ফিরে যেতে ফের আয়েশাকে বেঁধে রাখা হয়। এদিন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন এবং প্রশাসনের কর্তারা ফের আয়েশার বাড়ি যান। পরিবারের সম্মতিতে আয়েশাকে আনা হয় মহিলা থানায়। ঠিক হয়েছে, বাবা-মা ফেরা না পর্যন্ত আয়েশা সেখানেই থাকবে। বহরমপুরের বিডিও অভিনন্দন ঘোষ বলেন ‘‘মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। চিকিৎসকদের নির্দেশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy