সাজাপ্রাপ্ত। নিজস্ব চিত্র
অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে বৃহস্পতিবার ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষ্ণনগর আদালতের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক মানস বসু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্তের নাম দিলীপ পাল। বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জের রবীন্দ্রনগরে। বুধবার বিচারক তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষিতা কিশোরী কয়েক মাস আগে এক বিকেলে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাচ্ছিল। সেই সময় সে দেখে যে, তার সাইকেলের চাকা ‘লিক’ হয়ে গিয়েছে। তখন সে প্রতিবেশী দিলীপ পালের বাড়ি যায় তার মেয়ের সাইকেল আনতে। সেই সময় দিলীপের স্ত্রী ও মেয়ে বাড়িতে ছিল না। সেই সুযোগে দিলীপ ওই কিশোরীকে ঘরের ভিতরে জোর করে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করে। কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানালে মা ও বাবাকে খুন করা হবে বলে ভয় দেখায় সে।
তদন্তে উঠে আসে, মা ও বাবার খুন হওয়ার ভয়ে গোটা বিষয়টি চেপে যায় কিশোরী। সেই সুযোগ নিয়ে দশ-বারো দিন পর আবার কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে দিলীপ ধর্ষণ করে। ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পরে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই জানা যায় যে, সে অন্তঃসত্ত্বা। এর পর পরিবারের লোকজন তাকে চেপে ধরতে সে গোটা ঘটনাটা খুলে বলে। তার পরই কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে কিশোরীর পরিবারের তরফে গত বছর ৪ ডিসেম্বর অভিযোগ দায়ের করা হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী অনিন্দ্যে মুখোপাধ্যায় বলেন, “পকসো আইনের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০ বছর সাজা দেওয়ার নজির নেই বলেই জানা যাচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy