প্রতীকী ছবি।
মাত্র এক দিনের মধ্যে মৃত্যু হল করোনায় আক্রান্ত তিন জনের। রবিবার সকালেই গ্লোকাল কোভিড হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি জেলা হাসপাতালেও যে ভাবে সাধারণ ওয়ার্ডে করোনা রোগীর সন্ধান মিলতে শুরু করেছে তা রীতিমতো ভয়ের। চিকিৎসক ও কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে ওয়ার্ড সংক্রমণমুক্ত করার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা ভাব দেখাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শনিবার বিকেলে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। তার পর এ দিন সকালে গ্লোকাল হাসপাতালে দু’জন মারা যান। তার মধ্যে এক জনের বয়স মোটে বছর চল্লিশ। প্রথম দিকে জেলা হাসপাতালে কোভিড আক্রান্তের সন্ধান মিললে ওয়ার্ড থেকে সমস্ত রোগীকে বার করে দিয়ে সংক্রমণমুক্ত করে এক দিন পরে সেই ওয়ার্ডে রোগী ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল। পরে পজ়িটিভ রোগী ওয়ার্ডের যে দিকে থাকছিলেন সেই দিকের সমস্ত রোগীকে উল্টো দিকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। পরে ফাঁকা জায়গা সংক্রমণমুক্ত করে সে দিকে রোগীদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর আগে মেল ও ফিমেল মেডিসিন বিভাগে তেমনটাই হয়েছে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, গোটা ওয়ার্ডের রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত জায়গা হাসপাতালে নেই।
কিন্তু এখন সেটুকুও করা হচ্ছে না। শনিবার দুপুরে মেল মেডিসিন বিভাগে ৯০ বছরের এক রোগীর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তাঁকে দুপুরেই গ্লোকাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই রোগীদের না সরিয়েই ওয়ার্ড সংক্রমণমুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই রোগী যে শয্যায় ছিলেন তার পাশের শয্যাতেই রোগী রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, অন্তত দু’দিনের আগে এমনটা কখনই করা উচিত নয়।
এ দিন সকালে আবার মেল সার্জিক্যাল বিভাগেও এক জন সংক্রমিতের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দিন কয়েক আগে কৃষ্ণনগরের একটি নার্সিংহোমে বছর তিরিশের ওই যুবকের অস্ত্রোপচার হয়। তাঁর জ্বর আসায় ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর দু’বার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়, দু’বারই নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু জ্বর থাকায় তাঁর লালারস সংগ্রহ করে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এর পরেই রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। কিন্তু তাঁর কোনও রকম উসপর্গ বা সমস্যা না থাকায় তাঁকে সেফ হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে যিনি চিকিৎসা করেছিলেন, এ দিন চিকিৎসকের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য এ দিনই তাঁর লালারসের নমুনা জেএনএম হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। ওই দু’জনের সংস্পর্শে অন্য চিকিৎসকেরা ছাড়াও আর যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল সুপার সোমনাথ ভট্টাচার্য অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy