Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পণের দাবিতে খুন, অভিযুক্ত স্বামী

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ মাস আগে সাগরদিঘি থানার নরসিংহপুর গ্রামের বাসিন্দা সান্ত্বনার সঙ্গে খড়গ্রামের গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় সোনার ব্যবসায়ী সুশান্ত মণ্ডলের বিয়ে হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৯ ০২:৪৭
Share: Save:

বিয়ের সময়ে লক্ষাধিক টাকা, বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না দেওয়া হয়েছিল। এত কিছু দেওয়ার পরেও মন ভরেনি পাত্রপক্ষের। বিয়ের পরে বাড়তি পণের দাবি করে। দাবি মতো সেই পণ দিতে না পারার ফলে সান্ত্বনা প্রামাণিককে (১৯) শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে ওই তরুণীর পরিবারের লোকজনের দাবি। যদিও ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। শুক্রবার রাতে ওই ঘটনাটি ঘটেছে খড়গ্রাম থানার গয়েশপুর গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ মাস আগে সাগরদিঘি থানার নরসিংহপুর গ্রামের বাসিন্দা সান্ত্বনার সঙ্গে খড়গ্রামের গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় সোনার ব্যবসায়ী সুশান্ত মণ্ডলের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় প্রায় পাঁচ ভরি গহনা এবং নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন তরুণীর বাবা প্রসাদ প্রামানিক। কিন্তু ব্যবসায় মন্দা চলছে বলে বিয়ের পর থেকে তিন দফায় ২৭ হাজার, ২৫ হাজার ও ২২ হাজার টাকা ননিয়েছিল সুশান্ত। ফের টাকার দাবি জানায় সে। এ বার ৩০ হাজার টাকা দাবি করে এবং সান্ত্বনাকে টাকা আনার জন্য বাবার বাড়িতেও পাঠিয়ে দেয় সুশান্ত।

কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে ওই টাকা আনতে না পারায় গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সান্ত্বনাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরা বাধা দেওয়ায় তখনকার মতো বমারধর বন্ধ রাখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু শুক্রবার রাতে স্বান্ত্বনাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

তবে সান্ত্বনার বাবার বাড়ির লোকজন জানান, ঘটনার পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। ওই রাতে পড়শিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সাগরদিঘি থেকে বাবার বাড়ির লোকজন গয়েশপুরে এসে জানতে পারেন সান্ত্বনার মৃত্যুর খবর। বাবা প্রসাদ প্রামানিক বলছেন, “সান্ত্বনা আমার ওই একটিই মেয়ে। আমি সেলুন ব্যবসায়ী। বার বার করে টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। টাকা দেব? তবুও গত কয়েক মাসে ৭৪ হাজার টাকা দিয়েছি। এ বার টাকা না থাকায় দিতে পারিনি। তাই বলে মেয়েকে এ ভাবে খুন করে ফেলবে, বুঝতে পারিনি।’’ ব্যস্ততার কারণে এ দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি ওই পরিবার। প্রসাদ প্রমাণিক বলছেন, ‘‘পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ জানাব। জামাই-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনে উপযুক্ত শাস্তি দিতে না পারলে শান্তি পাব না। আমি চাই ওদের কঠোর সাজা হোক।’’ পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Dowry Crime Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE