জাল টাকা ও মাদকে রক্ষা নেই, দোসর এ বার আগ্নেয়াস্ত্র!
পড়শি জেলা, মালদহের কালিয়াচক আগ্নেয়াস্ত্রেরও জোগানদার হয়ে ওঠায় উদ্বিগ্ন মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ। সেই উদ্বিগ্ন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারে স্কুল পড়ুয়া যোগ।
ফরাক্কা, শমসেরগঞ্জ ও সুতি— এই তিন থানা এলাকাতেই একের পর এক ধরা পড়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। এবং প্রায় সব ঘটনাতেই আগ্নেয়াস্ত্রের জোগানদার হিসেবে উঠে এসেছে কালিয়াচকের নাম।
তবে এত দিন সে কারবারে কোনও স্কুল পড়ুয়ার যোগ মেলেনি। সম্প্রতি এক লপ্তে ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০০টি গুলি উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে একাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়া।
১৮ অগস্ট শনিবার সকাল ৮টা থেকেই চাঁদের মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই একটি ধাবার কাছে অপেক্ষায় ছিলেন সুতি থানার জনা পাঁচেক সাদা পোশাকের পুলিশকর্মী। ছিলেন সুতির ওসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজ ও এএসআই পার্থ ঘোষ।
কিন্তু যাদের জন্য অপেক্ষা তাদের দেখা নেই! এ দিকে, খবর ছিল সকালেই ধাবায় আসবে তারা। তা হলে কি রুট বদলাল?
বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ হঠাৎ নজর পড়ে দু’জনের উপর। মালদহের দিক থেকে আসা একটি বাস থেকে নামল দু’জন। দু’জনের হাতেই দু’টি ব্যাগ। তারা এগিয়ে গেল ধাবার দিকেই। ধাবাতেও তেমন ভিড় নেই। সামনেই দাঁড়িয়ে দু’টি লরি।
ইতিমধ্যে পুলিশ এগিয়ে ঘিরে ফেলল ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা এক জনকে। ধৃতের নাম মোস্তাহেরুল ইসলাম। বাড়ি নিমতিতার শেরপুরে। ও দিকে ব্যাগ খুলতেই মেলে ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০০ রাউন্ড গুলি ও ২৪টি ম্যাগাজিন। আগ্নেয়াস্ত্রের ১২টিই ৭.৬৫ এমএম ও ৮টি ওয়ান শটার।
কিন্তু কোথায় তার সঙ্গী? জেরায় জানা গিয়েছে, আর এক সঙ্গীর নাম লাবু শেখ। বাড়ি কালিয়াচকের নয়াগ্রাম। এ বার ধৃত তরুণকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, এক সময় নিমতিতায় থাকলেও এখন সে কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ কলেজ মোড়ের বাসিন্দা। সে কালিয়াচকের একটি হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। সীমান্তে কাশির সিরাপ কিংবা অন্য সামগ্রী পাচারে শিশু, কিশোর কিংবা পড়ুয়াদের ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, এ জেলায় মাদক ও জাল নোটের কারবারে স্কুল, কলেজ পড়ুয়াদের জড়িত থাকার নজিরও আছে। কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারে পড়ুয়া যোগ এই প্রথম। আর তাতেই উদ্বেগ আরও বেড়েছে পুলিশের।
(চলবে)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy