Advertisement
০৫ মে ২০২৪

হোগলবেড়িয়ায় কংগ্রেস নেতা দল ছেড়ে তৃণমূলে

সিপিএম প্রার্থীর হয়ে করিমপুরের কংগ্রেস কর্মীদের যখন প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা, দল ছেড়ে তৃণমূলের হাতায় চলে গেলেন কিছু নেতা-কর্মী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমপুর শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৬ ০১:৩৭
Share: Save:

সিপিএম প্রার্থীর হয়ে করিমপুরের কংগ্রেস কর্মীদের যখন প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা, দল ছেড়ে তৃণমূলের হাতায় চলে গেলেন কিছু নেতা-কর্মী।

শনিবার সকালে প্রাক্তন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে দলবদল করেন করিমপুর ১ ব্লক কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি গণপতি মণ্ডল। বিকেলে প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন হোগলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু স্থানীয় নেতানেত্রী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন করিমপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি কংগ্রেসের সুরপতি প্রামাণিক, হোগলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান প্রতিমা প্রামাণিক এবং বর্তমান চার সদস্য সীমান্ত মণ্ডল, সঞ্জিত মণ্ডল, অনিতা বিশ্বাস ও সুমিত্রা মণ্ডল। এ ছাড়াও, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক গঙ্গেশ প্রামাণিক, অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি মহিতোষ প্রামাণিক ও কয়েক হাজার নেতা-কর্মী কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন বলেও দলত্যাগীদের দাবি।

মাস কয়েক আগে করিমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতেরও আট জন কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। পরে পিপুলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন কংগ্রেস সদস্যও একই পথ ধরেন। গত মঙ্গলবার হরেকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান ও দুই সদস্য তৃনমূলে যোগ দেন। তাঁদের সকলেরই দাবি, সিপিএম-কংগ্রেসের ‘অনৈতিক জোট’ বরদাস্ত করতে না পেরেই দক্ষিণপন্থী মানুষের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে তাঁরা দলবদল করেছেন। সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া গঙ্গেশ প্রামাণিকের মতে, “এ বারের নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেস নেতারা যে আসন সমঝোতা করেছেন, তা সম্পূর্ণ অনৈতিক। সাধারণ কর্মীদের মধ্যে জোট হয়েছে বলে দুই দলের নেতারা যে প্রচার করছেন, তা-ও মিথ্যা। শুধু মাত্র নেতাদের নিজেদের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতে কংগ্রেস চিরশত্রু সিপিএমের সঙ্গে জোট করেছে। আমরা যারা জন্মের পর থেকে কংগ্রেস করে আসছি, তাদের অসম্মান করেছেন নেতারা। তাই সকলে তৃণমূলে যোগ দিলাম।”

সদ্য কংগ্রেসত্যাগী গণপতি মণ্ডলও দাবি করেন, “প্রথম দিকে সিপিএম-কংগ্রেসের জোট ঘোষণায় অবাক হয়েছিলাম। পরে দলের সিদ্ধান্ত বলেই মেনে নিই। কিন্তু এলাকার কংগ্রেস কর্মীরা যখন জোট মানতে পারছেন না, তখন সব কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে সিপিএমের সঙ্গে সারা জীবন লড়াই করে এলাম, তাদের সমর্থনে করা সম্ভব নয়। আর, তৃণমূল কি এমন ক্ষতি করল যে নির্বাচনে তাঁদের বিরুদ্ধে সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়তে হবে?” তৃণমূলের করিমপুর ১ ব্লক সভাপতি চিররঞ্জন মণ্ডলের দাবি, “কংগ্রেস-সিপিএমের ‘তরমুজ’ জোট কংগ্রেসের কর্মীরা যেমন মানতে পারবেন না, তেমন সিপিএম কর্মীরাও মানবেন না। এখানে সিপিএম প্রার্থী আছে বলে ওরা লাফাচ্ছে। জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের হলেই সিপিএম কর্মীরা এখানে ভোট দিত না। ভোটের আগেই আরও অনেক কংগ্রেস নেতা ও কর্মী তৃণমূলে যোগ দেবে।” করিমপুর ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তারক সরখেল অবশ্য দাবি করেন, “এটা একটা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

assembly election 2016 congress tmc
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE