মুর্শিদাবাদ পুরসভা এলাকায় কর্মী সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে পুরভোটের প্রচার শুরু করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
সোমবার সন্ধ্যায় ওই পুরসভা এলাকার এক সেমিনার হলে কর্মী সম্মলন হয়। অধীরবাবু এসে পৌঁছানোর অনেক আগেই থেকেই পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের কর্মীদের ভিড়ে সেমিনার হল ছিল কানায় কানায় ভর্তি। তা দেখে অধীরবাবু বলেন, “কর্মীদের উচ্ছ্বাস ও উত্সাহ বলে দিচ্ছে জয়ের যাত্রা এ বারও অব্যাহাত থাকবে।”
এ দিন কর্মী সম্মেলনের শুরুতেই অধীরবাবু বর্তমান পুরবোর্ড সম্বন্ধে কর্মীরা কতটা সন্তষ্ট তা জেনে নিতে চান। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে কংগ্রেসের এক কর্মী বলেন, “কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হয়ে যে সব কাউন্সিলর পুরবোর্ড ভাঙার খেলায় মাতে তাদের দল থেকে বিতাড়িত করা হয় না। তা ছাড়া এমন পুরপ্রধান করা উচিত, যিনি আগামী পাঁচ বছর পুরবোর্ড চালাতে পারবেন। বার বার পুরপ্রধান বদলের ফলে সাধারণ নাগরিকদের কাছে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।” এরপরেই বলতে উঠে স্থানীয় এক স্বয়ম্বর গোষ্ঠীর মহিলা বলেন, “স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্নার কাজে স্বয়ম্বর গোষ্ঠীর সব মহিলা সুযোগ পায় না। ওই মহিলাদের জন্য পুরবোর্ডের উচিত ছিল কিছু করা। কিন্তু তা হয়নি।” ওই কথা শোনার পরেই মঞ্চে বসে অধীরবাবু ‘কোন পরিস্থিতিতে ওই স্বয়ম্বর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য কিছু করা সম্ভব হয়নি তা বুঝিয়ে বলার জন্য’ পুরপ্রধান শম্ভূনাথ ঘোষকে নির্দেশ দেন— বৈঠকী আড্ডার মেজাজে শুরু হওয়া কর্মী সম্মেলনের সুর এ ভাবেই এক তারে বেঁধে ফেলেন অধীরবাবু।
পরে অধীর বলেন, “গত বারও পুরভোটের প্রচারে এসেছিলাম। নির্বাচন শুরু হয়, তখন একটা ভয় থাকে। কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যখন ভোটের বিউগল বাজিয়ে দেওয়া হয়, তখন কর্মীরা সারা বছরের দুঃখ-অভিমান, ক্ষোভ-বিক্ষোভ দূরে সরিয়ে রেখে দলীয় প্রার্থীদের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন।” গত পুরভোটে অনেক বেশি প্রতিকূলতা ছিল বলে অধীরবাবু মনে করেন। এ বার অন্তত সেই পরিস্থিতি নেই। কারণ হিসেবে তিনি জানান, চতুর্থ শ্রেণির মুর্শিদাবাদ পুরসভায় উন্নয়ন করার চেষ্টা করে সফল হয়েছি। নবাবের দেশের মানুষকে ইচ্ছে ছিল পোলাও-বিরিয়ানি খাওয়ানোর। কিন্তু অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও মুর্শিদাবাদ শহরের চেহারা পাল্টেছে কি না বলুন!
তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করে অধীরবাবু বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে পুরসভায় অর্থনৈতিক অবরোধ করে রেখেছে তৃণমূল সরকার। পাইপ লাইনের সাহায্যে প্রতি বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প ইউপিএ সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন করে নিয়ে আসা হলেও রাজ্য সরকার তা বাতিল করে দেয়। কারণ মুর্শিদাবাদ পুরসভা যে কংগ্রেসের দখলে রয়েছে।” প্রদেশ সভাপতির আশঙ্কা, কংগ্রেসকে দুর্বল করতে বিরোধীরা আঁতাত করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy