Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

চিকিৎসক মাত্র তিন দিন

করোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

মৃন্ময় সরকার
লালগোলা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২০ ০৮:২৮
Share: Save:

দু’দিন আগে পেটের ব্যথায় কাবু হয়ে রাজারামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন লালগোলার পাইকপাড়ার বাসিন্দা মনসুর শেখ। বহুক্ষণ অপেক্ষার পরেও ডাক্তারের দেখা পাননি। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্টের দেওয়া ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল তাঁকে।
রাজারামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খাতায়কলমে সর্বক্ষণের জন্য একজন চিকিৎসক রয়েছেন। অভিযোগ, অধিকাংশ সময়েই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের দেখা মেলে না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দেওয়ালে শ্যাওলার দাগ, জঙ্গলে ঘেরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র দেখে কোনও পরিত্যক্ত বাড়ি বলেই ভুল হওয়া স্বাভাবিক। করোনা-আতঙ্ক এবং লকডাউনে জেলার অন্য কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের আনাগোনা বাড়লেও শিকে ছেঁড়েনি রাজারমপুরের। ফলে, এলাকায় কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে বাসিন্দাদের লকডাউনের মধ্যেই ছুটতে হচ্ছে ১০ কিমি দূরের কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। একইসঙ্গে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নার্স না থাকায় প্রসূতিদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রাজারামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আব্দুল কাদেরের ক্ষোভ, ‘‘স্থায়ী চিকিৎসক আছেন। তবে সপ্তাহে তিন দিনের বেশি তাঁকে পাওয়া যায় না, সেই সময় ভরসা সেই ফার্মাসিস্ট।’’ তবে লালগোলার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য সাহা বলেন, ‘‘রাজারামপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসককে তিন দিন আইড়মাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয়। এই ব্লকে চিকিৎসকের এমনিতে ঘাটতি আছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus LOCKDOWN DOCTOR
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE