প্রতীকী ছবি।
দুর্নীতির দুয়ার খুলেই পায়ের তলায় মাটি খুঁজছে বামেরা।
আমপানে ক্ষতিপূরণ এবং তার সঙ্গে জুড়ে থাকা তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েতগুলির একাধিক দুর্নীতিকে সামনে এনে বিক্ষোভ দেখিয়েই তাদের হারানো জমি উদ্ধারের উপায় বলে মনে করছেন জেলা তথা ডোমকলের সিপিএম নেতৃত্ব।
প্রতিদিন ডোমকল এলাকায় মিছিল-মিটিং থেকে প্রতিবাদ সভা করে সেই পুরনো জমি ফেরাতে মরিয়া সিপিএমের ডোমকল এলাকার এক নেতা কবুল করছেন, ‘‘আমাদের হাতে তো এখন ভুল ধরিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনও অস্ত্র নেই। শাসকের ভুল ধরিয়ে যদি মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়, তারই চেষ্টা করছি।’’ডোমকল মহকুমার বিভিন্ন পঞ্চায়েতে থেকে প্রশাসনের দরবারেও প্রতিবাদের ঝড় তুলছে বিভিন্ন বাম সংগঠনগুলি। আর তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রতি বিরক্ত সাধারণ মানুষও ভিড় জমাচ্ছেন তাদের ডাকা সেই সব সমাবেশে। এমনই দাবি করছেন বাম-নেতৃত্ব।তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেও বামেদের দুর্গ বলে পরিচিত ছিল ডোমকল মহকুমা। বিধানসভার তিনটি আসন দখল করেছিল বিরোধীরা। কিন্তু পঞ্চায়েতের নির্বাচনের পর সেই বিরোধীরা প্রায় কর্পূরের মত উবে গিয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তেমন কোনও কর্মসূচিও ছিল না। মিছিল মিটিং বা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়েনি কিছুই। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর এক পঞ্চায়েতে শাসক দলের দুর্নীতি সামনে এসে পড়ায় এখন সেগুলিকেই আঁকড়ে ধরে ফিরতে চাইছে তারা। আর তাতে জনসমর্থন মিলছে বলেই বামেদের দাবি। সেই ভরসায় দিন কয়েক আগে জলঙ্গি বিডিও অফিসে রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তারা। যা দেখে অনেকেই মনে করছেন— সিপিএম তার পুরনো লড়াকু মেজাজে ফিরছে! সেই আন্দোলনের জের ছুঁয়ে পরের কয়েক দিন ধরে একের পর এক, জলঙ্গি, রানিনগরের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বামেরা। জলঙ্গির সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক ইমরান হোসেন বলছেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে যে ভাবে বিরোধী কণ্ঠকে চেপে ধরা হয়েছিল তা নজিরবিহীন। এ বার সেই হারানো লড়াইয়ের মেজাজটা ফিরে পাওয়া গেছে।’’ আর, জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলছেন, ‘‘সিপিএম আসলে বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা অক্সিজেন পেতে চাইছে, কিন্তু মানুষ ঠিক সময়ে উচিত জবাব দেবে ওদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy