প্রতিবেশী মহিলার বাড়ি বসে মদ খেয়েছিলেন বছর চব্বিশের যুবকটি। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রানাঘাট থানার নোকারি ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুমন ঘোষ নামে ওই যুবককে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
রবিবার শুক্লা ঘোষ নামে ওই প্রতিবেশী মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সুমনের বাবা পলাশ ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘‘ওই মহিলা প্রেমের জালে জড়িয়েছিলেন আমার ছেলেকে। ওঁর পাল্লায় পড়ে আমার ছেলে প্রায়ই ওঁর বাড়ি যেত। ওই মহিলাই মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়েছে আমার ছেলেকে। তাতেই ও মারা গিয়েছে। আমি চাই, ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ দোষীকে শাস্তি দিক।’’ ঘটনার পরেই উত্তেজিত জনতা মহিলার বাড়িতে চড়াও হয়। ওই মহিলা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তাতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আরও জোরাল হয়েছে।
কিন্তু সুমন ঘোষকে ওই মহিলা যদি প্রেমের ফাঁদে জড়াতেই আগ্রহী হবে তা হলে তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবে কেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, ওই মহিলার স্বভাবচরিত্র খুব একটা ভাল নয়। পাড়ায় তাঁর দুর্নাম ছিল। বিভিন্ন সময়ে তাঁর বাড়িতে ছেলেদের আনাগোনা লেগে থাকত। সুমনও কিছু দিন ধরে তাঁর বাড়ি যাতায়াত করছিল। সম্ভবত কোনও বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ হয়। বা মহিলার কোনও গোপন বিষয় সুমন জানতে পেরে যান। সেই কারণেই বিষ খাইয়ে সুমনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই অনুমান কতটা ঠিক তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সুমনেরা দুই ভাই। সুমন ছিলেন ছোট। তিনি একটি ফুলের দোকানে কাজ করতেন। তাঁদের বাড়ির পাশেই থাকতেন শুক্লারা। বছর চারেক হল তাঁরা সেখানে বসবাস করছেন। কাজের সুবাদে শুক্লার স্বামী বিদেশে থাকেন। স্বামীর সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভাল নয় বলে পারিবারিক সূত্রের খবর। তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে।
সুমনের দাদা শুভ্র ঘোষ বলেন, “সে দিন ভাই ওই মহিলার বাড়ি থেকে ফিরে ‘গায়ে জল দাও’ বলে চিৎকার করছিল। গায়ে জল দেওয়ার পর সে মাটিতে লুটিয়ে ছটফট করতে থাকে। তার পর বমি করে। প্রথমে ওকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল এবং পরে কল্যাণীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পর দিন ভাইয়ের মৃত্যু হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy