প্রতীকী ছবি।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি। তার জেরে ক্ষুব্ধ স্ত্রী বলেছিলেন, তিনি বাপের বাড়ি চলে যাবেন। তখনই উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী-র মাথায় স্বামী লোহা দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। স্ত্রীর মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। কিছু ক্ষণ পরে নিজের ঘরে স্বামীকে সিলিং থেকে ঝুলতে দেখা যায়। পরিবারের লোক দাবি করেছেন, স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কে ও অনুশোচনায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে ধানতলা থানার হোসেনপুর এলাকায়। বছর আটত্রিশের উৎপল কুমার মণ্ডল পেশায় জ্যোতিষ। হাত দেখে ভবিষ্যৎ বলেন। সোমবার রানাঘাট মহকুমার শয্যায় শুয়ে তাঁর স্ত্রী রাখী জানান, বাড়িতে তাঁদের দু’টি ঘর। তিনি একটি ঘরে রাতে থাকেন। কিন্তু উৎপল শুতে যান অন্য ঘরে। ফলে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়িকে বারান্দায় শুতে হয়। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা দুটি বয়স্ক মানুষ বারান্দায় শুয়ে থাকেন এটা তিনি মন থেকে মানতে পারছিলেন না। তাই স্বামীকে তাঁর ঘরে শুতে বলেছিলেন। তা নিয়েই কথা কাটাকাটির সূত্রপাত। রাখীর কথায়, ‘‘কখন ও হাতুড়ি নিয়ে আসে তা বলতে পারব না। আমার মাথায় আঘাত করে। জ্ঞান হারাই। তার পর আর কিছু বলতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy