করিমপুরে কল্লোল প্রামাণিকের তোলা ছবি।
এক দিকে ভারী বৃষ্টিতে পানে গোড়ায় জল জমে পচন শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যার কারণে বন্ধ পানের রফতানি। ফলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে পানের বাজার। এই দুইয়ের মাঝে পড়ে সমস্যায় নদিয়ার করিমপুর পানচাষিরা।
নদিয়া জেলায় সব চেয়ে বেশি পান চাষ হয় সীমান্ত ঘেঁষা করিমপুরে। করিমপুর উদ্যান ও কৃষি কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বিশ্বনাথ বিশ্বাস জানান, করিমপুর-১ ও ২ ব্লক মিলিয়ে ১২০০ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়। পানের চাষের সঙ্গে এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষের রুটি-রুজি জড়িত। কিন্তু পানের চাষের ক্ষতি ও বাজার বন্ধ থাকায় হাজার-হাজার লোকজনের পেটে টান পড়তে শুরু করেছে। পানের জমি থেকে জল সরার পর পানের লতায় পচন ধরেছে। কী ভাবে পচন রোধ করা যায় সে ব্যাপারে চাষিরা কিছুই বুঝতে পারছেন না।
চাষিদের অভিযোগ, পানের পচনের কথা লিখিত ভাবে জেলাশাসক ও জেলা উদ্যানপালন আধিকারিককে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু কেউ কোনও ব্যবস্থা করছেন না। করমিপুরের পাট্টাবুকার পানচাষি সুশীল দে বা যমশেরপুরের মোসলেম মণ্ডলরা বলেন, ‘‘এলাকায় চাষিরা পানের এই রোগ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বর্ষার আগে খরাতে এমনিতেই পানের লতা শুকিয়ে গিয়েছিল। তার উপর বৃষ্টিতে পচে যাচ্ছে পানের লতা ও পাতা। তা ছাড়া বাজার বন্ধ থাকায় পান বিক্রি বন্ধ হয়েছে। সব মিলিয়ে চাষিদের সমস্যার অন্ত নেই।’’
শিকারপুরের পানচাষি সুবোধ বিশ্বাস বলেন, ‘‘মাস দুয়েক পরেই পুজো। তার আগে পান চাষের এই ক্ষতিতে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক।’’
করিমপুর-১ বিডিও তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন, “বেশ কিছু বরজে পানের লতায় পচন ধরেছে। জেলা উদ্যানপালন আধিকারিককে ঘটনার কথা জানিয়েছি।” নদিয়া জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু ঘোড়াই বলেন, “পানের রোগ লাগার কথা জানতে পেরেছি। সোমবার ওই এলাকায় সরেজমিনে দেখতে যাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy