Advertisement
০৯ মে ২০২৪

টোলের অছিলায় দেদার তোলা সেতুতে

সেতুর গায়ে চাঁদপুরে তাই  পণ্যবাহী ছোটগাড়ি কিংবা লরি থেকে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা তোলা আদায় চলেছে শুক্রবারও। টোল আদায়ের নামে তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কানুপুর-বহুতালি সড়কের হারোয়া সেতু থেকেও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ধুলিয়ান শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ০২:১৯
Share: Save:

ধমক দিয়েছেন দিঘায়, তবে তার রেশ যে এখনও মুর্শিদাবাদে পৌঁছয়নি ধুলিয়ান-পাকুড় সড়কের পুঁটিমারি সেতুর গায়ে ‘টোল’ আদায়ের অছিলায় নিরন্তর তোলাবাজি তার জ্যান্ত নমুনা।

সেতুর গায়ে চাঁদপুরে তাই পণ্যবাহী ছোটগাড়ি কিংবা লরি থেকে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা তোলা আদায় চলেছে শুক্রবারও। টোল আদায়ের নামে তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কানুপুর-বহুতালি সড়কের হারোয়া সেতু থেকেও। অভিযোগ, সিভিক কিংবা সাদা পোশাকের জনা তিনেক যুবক বালি, পাথর নিয়ে যাওয়া লরি ও ট্রাক্টর থেকে নিয়মিত আদায় করছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। অথচ কানুপুরের ওই সেতুর প্রায় গায়েই পুলিশের ফাঁড়ি। এ ব্যাপারে তাদের কাছে ‘কোনও খবর নেই’!

জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “এলাকায় কোথাও তোলা আদায় হচ্ছে বলে তো শুনিনি। এমন কোনও খবর নেই। অভিযোগ তো বছর খানেক আগে ছিল। তবে এখন আর হয় না।’’

ধুলিয়ান-পাকুড় সড়কে তোলাবাজি নতুন নয়। জুন মাসে স্থানীয় লরি চালকেরা বিক্ষোভ দেখালে নড়েচড়ে বসেছিল পুলিশ। ভেঙে ফেলা হয়েছিল তোলাবাজদের আস্তানা। তবে, কিছু দিন বন্ধ থাকার পরে তা যে ফের শুরু হয়েছে তা আর পুলিশের নজরে নেই বলে জানাচ্ছেন আশপাশের গ্রামবাসীরা। এই সড়ক দিয়ে প্রতি দিন পাকুড় থেকে কয়েকশো পাথর বোঝাই লরি যাতায়াত করে। টোটো, অটো, ট্রেকারের চলাচলও কয়েকশো। এক ট্রাক চালকের কথায়, ‘‘ঝাড়খন্ড থেকে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে জুলুমের পরিমাণ বেশি। কখনও তা পাঁচশো টাকাও ছাড়িয়ে যায়।’’ সিমেন্ট, রড, বালি, ধান, সার যাই নিয়ে যাওয়া হোক না কেন তাদের তোলার টাকা না দিয়ে মুক্তি মেলে না। চাঁদপুরের এক ব্যবসায়ী শুক্রবার বলেন, “আগে যারা তোলা তুলত তারা এখন সামনে নেই। আগে ঘর ছিল, তা ভেঙে দেওয়ার পরে এখন খোলামেলা ভাবেই রাস্তায় গাড়ি আটকে তোলা আদায় চলছে।’’

ধুলিয়ানের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম অবশ্য বলছেন, “এখন তো আর তোলাবাজি হয় না। আগে হত, তবে তার সঙ্গে কোনও কালেই তৃণমূলের সম্পর্ক ছিল না।’’

অভিযোগ রয়েছে সুতির কয়েকটি এলাকায় তোলাবাজি নিয়েও। সুতির প্রাক্তন বিধায়ক জানে আলম বলেন, “তিন চার জন যুবক এ কাজটা করছে পুলিশের নাম করে। শুনেছি তাদের সঙ্গ দেয় সিভিক ভলান্টিয়ার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

crime Extortion Toll Tax
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE