ধর্ষণে ধৃত তিন। —নিজস্ব চিত্র।
এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে কৃষ্ণনগর থেকে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামসুন্দর ঘোষ এবং নৃসিংহ ঘোষ ওরফে বাপ্পা। শনিবার তাদের কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হলে চোদ্দ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রভাস ঘোষ ওরফে লালা নামে আরও এক যুবককে পুলিশ খুঁজছে।
গত ১১ অগস্ট নবদ্বীপ থানায় গিয়ে নিজেই ধর্ষণের অভিযোগ করে বছর ষোলোর ওই কিশোরী। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, দু’দিন আগে তেহট্টের গোবিন্দপুর থেকে সে ঘুরতে-ঘুরতে কৃষ্ণনগরে চলে আসে। বাবা নেই, মা অন্য সংসারে থাকেন। বাস থেকে নামার পরে টোটো চালক বাপ্পার সঙ্গে তার আলাপ হয়। কোতোয়ালি থানার সতীশনগরের বাসিন্দা বাপ্পা আবার পরিচয় করিয়ে দেয় তার বন্ধু লালার সঙ্গে।
কিশোরীর অভিযোগ, রান্নার কাজ পাইয়ে দেবে বলে বাপ্পা আর লালা তাকে মোটরবাইকে চাপিয়ে নবদ্বীপে স্বরূপগঞ্জ রেলবাজার ফেরিঘাটে নিয়ে আসে। সেখান থেকে জলঙ্গি পেরিয়ে তাকে নিয়ে তারা পৌঁছয় মায়াপুরের হুলোর ঘাটে। নদীর ধারেই একটি হোটেলে গিয়ে তারা ঘর ভাড়া চায়। হোটেল মালিক তাদের ঘর দিতে রাজি হননি। দু’জনে তাকে নিয়ে ফিরে যায় কৃষ্ণনগরে।
কিশোরী জানিয়েছে, তাঁতিপাড়ার শিববাড়িতে বাপ্পার এক টোটোচালক বন্ধু প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই বাড়িতে আগে থেকেই ছিল প্রদীপের পাড়ার বন্ধু শ্যামসুন্দর ঘোষ। রাতে খাওয়ার পরে কিশোরীকে পাশে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। তবে চার জনেই সরাসরি ধর্ষণে যুক্ত ছিল কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। নদিয়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।”
পুলিশকে কিশোরী জানিয়েছে, পরের দিন তাকে কৃষ্ণনগর স্টেশনে ছেড়ে দিয়ে গিয়েছিল ওই যুবকেরা। সেখান থেকে ট্রেনে সে শান্তিপুরে চলে যায়। শান্তিপুর স্টেশনে তাকে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে দেখে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদ করে সব শোনেন। তার পরে তিনিই তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যান শান্তিপুর থানায়। পুলিশ সব শুনে কিশোরীকে নবদ্বীপ থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষণ ছাড়াও পকসো আইনের ৪ ধারায় মামলা রুজু হয়। নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়। শুক্রবার রাতে তিন অভিযুক্ত ধরা পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy