কোথায়-কে: আসন সংরক্ষণের তালিকা হাতে পেয়ে তৃণমূলের দফতরে শুরু হয়ে গেল আলোচনা। নিজস্ব চিত্র
সংরক্ষণের ধাক্কায় জঙ্গিপুরে কোনঠাসা তৃণমূল, অন্তত দলীয় কর্মীদের কথায় তেমনই গুঞ্জন।
নিজেদের জেতা আসনে এ বারে লড়তে পারছেন না জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান ও উপ পুরপ্রধান। এ বারেও নিজের ওয়ার্ডে ফিরতে পারছেন না তৃণমূলের জঙ্গিপুর মহকুমার সভাপতি বিকাশ নন্দও। গত নির্বাচনেও সংরক্ষণের কোপে পড়ে নিজের ওয়ার্ড ছেড়ে পাশের ওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে তিনি পরাজিত হলেও নিজের ওয়ার্ড ১৪ নম্বর থেকে কংগ্রেসের হয়ে তিন তিন বার জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ধুলিয়ানে পুরপ্রধান রক্ষা পেলেও সংরক্ষণে বাদ সেধেছে উপ-পুরপ্রধানের ৩ নম্বর ওয়ার্ড।
শুক্রবারই জেলাশাসকের দফতর থেকে প্রকাশ করা হয়েছে পুরভোটের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা। জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ান দু’টি পুরসভা বর্তমানের তৃণমূলের দখলে। দু’টি পুরসভায় রয়েছে ২১টি করে ওয়ার্ড। ২০১৫ সালের নির্বাচনে জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ান কোনওটিই ছিল না তৃণমূলের। পরে দল ভাঙিয়ে ধুলিয়ানে ২১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরই তৃণমূলে যোগ দেন। একই ভাবে জঙ্গিপুরে তৃণমূলে যোগ দেন ১৪ জন।
আসন্ন পুরভোটে আসন সংরক্ষণের গেরোয় জঙ্গিপুরের বর্তমান পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলামের ৩ নম্বর এবং উপ-প্রধান সমীর পন্ডিতের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড দু’টি মহিলা প্রার্তীর জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় তাঁরা আর ওই আসনে প্রার্থী হতে পারবেন না। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডটিও একই ভাবে মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় সেখানে প্রার্থী হতে পারছেন না দলের মহকুমা সভাপতি বিকাশ নন্দ।
জঙ্গিপুরে ২১’টি ওয়ার্ডের তফসিলি জাতির জন্য ৮ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড, তফসিলি মহিলাদের জন্য ১৬ নম্বর এবং মহিলাদের জন্য ৩, ৬, ১০, ১৪, ১৮, ২১ নম্বর ওয়ার্ডগুলি সংরক্ষিত হয়েছে। ধুলিয়ান পুরসভায় ২১’টি ওয়ার্ডের মধ্যে তফসিলি জাতির জন্য ১৯ নম্বর ওয়ার্ড, তফসিলি মহিলাদের জন্য ৫ নম্বর এবং সাধারণ মহিলাদের জন্য ৩, ৭, ১০, ১৩, ১৬, ২০ নম্বর ওয়ার্ডগুলি সংরক্ষিত হয়েছে।
ধুলিয়ানের পুরপ্রধান সুবল সাহা জিতেছিলেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এ বারেও তা অসংরক্ষিত। প্রাক্তন পুরপ্রধান সফর আলির ৮ নম্বর ওয়ার্ডও সংরক্ষণের আওতায় পড়েনি। তবে, উপ-প্রধান হাসেন বিশ্বাসের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এ বারে মহিলা সংরক্ষণের আওতায় পড়ায় দাঁড়াতে পারছেন না তিনি।
এই আসন সংরক্ষণ নিয়ে অবশ্য অখুশি নন সুবল, বলছেন, “ধুলিয়ানে ওয়ার্ড সংরক্ষণে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। কোনও কাউন্সিলরের আসন মহিলা সংরক্ষিত হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে বর্তমান কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রার্থী দেওয়া হবে।”
জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলাম বলছেন, “দু’বার পুর নির্বাচনে লড়েছি। এক বার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে , একবার ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। দু’টিই আমার চেনা এলাকা। কাজেই তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy