আগুন-আতঙ্কে: সোমবার রঘুনাথগঞ্জে। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়
আগুন নেভাতে শেষতক বালতি কাঁধে নিল পুলিশ। নলকূপের টেপা জল দিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা করেও আগুনের ভয়াবহতা অবশ্য থামানো গেল না। তবে জল ঢেলে ভেজানোর ফলে আগুন নীচের দিকে লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি বেশি দূরে।
আগুনের ভয়াবহতা আগেও দেখেছে মহকুমা শহর রঘুনাথগঞ্জ। সোমবার সকালে ফের শহরের জনবহুল এলাকার মধ্যে দিনের বেলায় আগুনে ভস্মীভূত হল ফুড কর্পোরেশনের একটি পরিত্যক্ত গুদাম। দমকলের অভাবে নলকূপের জল দিয়ে সেই আগুন নেভাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হল পুলিশ ও স্থানীয় মানুষজনকে।
দমকলে খবর গিয়েছিল বটে, তবে ধুলিয়ান থেকে দমকলের ইঞ্জিন এল প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে। ততক্ষণে আগুনের গ্রাসে হারিয়ে গিয়েছে গুদাম। আশপাশের বাসিন্দাদের চোখেমুখে থিকথিকে আতঙ্ক।
রঘুনাথগঞ্জের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোডাউনপল্লির ওই গুদামে অবশ্য ছেঁড়া-ফাটা কিছু বস্তা ও কাঠের সামগ্রী ছাড়া তেমন কিছু ছিল না। ফলে ক্ষয়ক্ষতি সে ভাবে না ঘটলেও আগুন না নেভা পর্যন্ত আতঙ্কে ছিলেন আশপাশের বাসিন্দারা। ভয়ে এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ি থেকে মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে পথে দাঁড়িয়েছিলেন বাসিন্দারাও।
ওই ঘটনা, এ দিন আরও এক বার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, জেলা জুড়ে নামমাত্র দমকল কেন্দ্রগুলি কতটা অসহায়। দূরে কোথাও আগুন লাগলে তাদের পৌঁছনোর আগেই আগুন গিলে খাচ্ছে সর্বস্ব।
পুলিশ ও দমকলের সন্দেহ, গুদামের পাশেই পড়ে থাকা আবর্জনায় কেউ আগুন ধরিয়ে দেয় সকালে। সেই আগুন থেকেই তা ছড়িয়ে পড়ে ওই গুদামে। পাশেই স্টিল ফার্নিচারের দোকান সন্দীপ ভট্টাচার্যের। তিনি বলছেন, “দোকান খুলে সবে বাজারে গিয়েছি। তখনই বাড়ি থেকে ফোন যায়। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ গুদামে আগুনের ধোঁয়া চোখে পড়ে বাসিন্দাদের। পরে তা দাউ দাউ হয়ে জ্বলতে শুরু করে।”
গুদামের পাশেই কলোনি এলাকা। ঘনবসতি। দমকল বহু দূরের ব্যাপার। থানা থেকেই ছুটে আসেন পুলিশ কর্মীরা। জনা কুড়ি অফিসার ও সিভিক কর্মী বালতি করে জল ঢালতে শুরু করেন গুদামে। টিনের শেড ফেটে পড়ে বিকট শব্দে। টিনের উপর পিচ দিয়ে চট লাগানো থাকায় আগুন উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। সোমবার গোডাউন কলোনিতে এই আগুনের ভয়াবহতা আবার প্রমাণ করল মহকুমা শহরে দমকল কেন্দ্র কতটা জরুরি ।
জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিমা নরবু ভুটিয়া জানান, গুদামটি পুড়ে নষ্ট হয়েছে। তবে এই আগুনে তেমন ক্ষয়ক্ষতি কিছু হয়নি। পুলিশ ও দমকলের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy