পুলিশকর্মী ও তাঁর স্ত্রী খুনের পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও অভিযুক্তদের ধরতে পারল না গোয়ান্দারা। তবে নিত্যনতুন সম্পত্তির সন্ধান পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। প্রথম দিনই জয়ন্তীদেবীর আলমারি থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ও রমাপ্রসাদবাবুর ব্লেজাররের পকেট থেকে ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে ছিল গোয়েন্দারা। তার পরও তদন্তে নেমে ছেলে রুদ্রাশিসের কথা অনুযায়ী জয়ন্তীদেবীর খাটের ভিতর একটা ন্যকড়ায় জড়ানো অবস্থায় প্রায় ২০ ভরি সোনার গয়না উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া টাকা ও গহনা গোয়েন্দারা রুদ্রাশিসের হাতেই তুলে দিয়েছেন।
প্রথমে গোয়েন্দারা পালপাড়ায় ওই বাড়িটা ছাড়াও রাজারহাটে একটি ফ্লাটের সন্ধান পেয়েছিলেন। পরেও কৃষ্ণনগর থানার সামনে একটি ফ্লাট, ভাতজাংলা ও সীমান্তপল্লি এলাকায় দু’টি বাড়ির সন্ধান পান। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, রমাপ্রসাদবাবু বাজারে প্রায় ১০ কোটি টাকা সুদে খাটাচ্ছিলেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ৩৩টি অ্যাকাউন্ট, পুলিশ কো-অপারেটিভে দুটি সদস্য কার্ড, পোস্টঅফিসে একাধিক রেকারিং, শক্তিনগরে একটি সমবায় ব্যাঙ্কে স্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে রেকারিং ডিপোজিট রয়েছে।
তদন্তকারী এক সিআইডি অফিসারের কথায়, ‘‘যাঁর বাড়িতে প্রায় সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকা থাকে তার ৩৩টি অ্যাকাউন্টে না জানি কত টাকা থাকতে পারে। আমরা সেই সম্পতির হিসাব করতে শুরু করেছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘খুনের পিছনে সুদে টাকা খাটানোর বিষয়টিও যেমন থাকতে পারে তেমনই এই বিরাট স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মালিক হওয়ার বিষয়টিও থাকতে পারে। তাই কোন বিষয়ই আমরা হাল্কা করে দেখছি না।’’
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, রবিবারই রুদ্রাশিস, জয়ন্তীদেবীর প্রথম পক্ষের দুই মেয়ের সঙ্গে কলকাতায় চলে গিয়েছে। মঙ্গবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতেই খুন হয়ে ছিলেন রাজ্য পুলিশের কনস্টবল রমাপ্রসাদ চন্দ ও তার স্ত্রী জয়ন্তী চন্দ। জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের কর্মরত ওই কনস্টেবলের ও তার স্ত্রীর খুনের তদন্তে নেমে সিআইডির গেয়েন্দারা এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy