মৌসুমি খাতুন
প্রচণ্ড গরম। গভীর রাত পর্যন্ত চোখের পাতা এক করতে পারিনি। ভোরবেলা চেপে ধরেছিল ঘুম। হঠাৎ গুড়ুম গুড়ুম শব্দ শুনে প্রথমে ভেবেছিলাম মেঘ ডাকছে। হুড়মুড়িয়ে জানলা বন্ধ করতে উঠে দেখি লোক ছুটছে, ধোঁয়ায় ভরে গেছে এলাকা। বুঝতে দেরি হয়নি গ্রামে আবার জ্বলে উঠেছে। একটু পরেই চিন চেরা কান্না। ঘুমের ঘোরটা তখনো কেটে ওঠেনি। কিন্তু তার মাঝেই বুঝলাম বাড়িতে থাকাটা আর নিরাপদ নয়। ফলে বাড়ির পিছন দিয়ে দৌড় লাগালাম। কিন্তু তাতেও রক্ষে হল না। একটা গুলি ছিটকে লাগল আমার বুকে, প্রথমটায় বুঝতে পারিনি কি হল। কোন দিক থেকে গুলি এলো, কিভাবে এল বা কারা মারলো কিছুই বুঝতে উঠতে পারলাম না। আতঙ্কে তখন ছুটছু, দেখছি শাড়ি ভিজে গেছে রক্ত। আত্মীয়-স্বজনেরা কে কিভাবে আছে জানি না, আমি ছুটছে। এমন ঘটনার সাক্ষী কখনো হইনি। ফলে কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আত্মীয়রা করিমপুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করলেন। জ্ঞান ছিল কিন্তু রক্ত দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। ঘুমের ঘোরে তলিয়ে যাওয়ার আগে শুনলাম, ডাক্তারবাবুরা বলছিল আপনার শক্তিনগর হাসপাতালে যাওয়া দরকার। বুকের ক্ষতটা গভীর নয়, গুলি বোধহয় ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এর পরেও এই গ্রামে থাকা যায়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy