দূরশিক্ষার পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক লেগেই রয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
দিন কয়েক আগেই প্রশ্নপত্রের উপরে ভুল সাল লেখার অভিযোগ উঠেছিল। অ্যাডমিট কার্ডে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সই না-থাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। প্রশ্নপত্র এবং ‘ওএমআর শিট’-এ ‘সেট নম্বর’ উল্লেখ ছিল না বলেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল প্রভাবিত ছাত্র সংগঠনগুলি একযোগে নিন্দাও করে। এ বার ইংরেজির দ্বিতীয় বর্ষের ১০৪ পত্রে পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ও অন্য পত্র থেকে প্রশ্ন আসার অভিযোগ করলেন পড়ুয়ারা।
গত রবিবার ছিল ওই পত্রের পরীক্ষা। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাসের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। পরীক্ষা নিয়ামকের দফতর সূত্রে জানা যায়, অভিযোগপত্র দূরশিক্ষা বিভাগের অধিকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। কারণ, চলতি বছরে দূরশিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার সঙ্গে পরীক্ষা নিয়ামক জড়িত নন। তার জন্য আলাদা সেল খোলা হয়েছে।
এ দিন বহু ছাত্রছাত্রী তাঁদের লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, গত রবিবার ১০৪ পত্রে ‘মডিউল ১’-এ যে প্রশ্নগুলি ছিল, তার মধ্যে একটি প্রশ্ন এসেছে ৪০৯ পত্র থেকে। ওই পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ। আর ১০৪ পত্রের ‘মডিউল ৪’-এ এ যে প্রশ্নগুলি এসেছে, সেগুলি কোনও পত্রেই নেই। এই প্রশ্নগুলি প্রশ্নকর্তারা কোথায় পেলেন, সেটাই মাথায় ঢুকছে না পড়ুয়াদের।
উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজে রয়েছে দূরশিক্ষার স্টাডি সেন্টার। সেখানকার ছাত্রী শিবাণী ঘোষ বলছেন, ‘‘পাঠ্যক্রম বহির্ভূত প্রশ্ন ও অন্য পত্রের প্রশ্ন কেন ১০৪-এ ঢুকিয়ে দেওয়া হল, এটাই বুঝতে পারছি না। মডিউল ৪-এ যে প্রশ্নগুলি ছিল, সেখান থেকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হত। ওই প্রশ্নের মান ছিল ২০। পড়ুয়ারা ২০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারলেন না।’’
ছাত্রছাত্রীদের আক্ষেপ, ‘মডিউল ১’-এ অন্য পত্রের একটি প্রশ্ন থাকায় সেখানে পড়ুয়াদের বাছাইয়ের সুযোগ কমে গিয়েছিল। ফলে কিছু পড়ুয়া ‘মডিউল ১’-এর কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেননি। সেখানেও অনেক পড়ুয়া ২০ নম্বরের উত্তর লিখতে পারেননি। এ ছাড়াও পাঁচ নম্বরের দু’টি ছোট প্রশ্ন এসেছে পাঠ্যক্রমের বাইরে থেকে। যদিও সেখানে অনেকগুলি প্রশ্নের মধ্যে দু’টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছিল, ফলে বাছাইয়ের সুযোগ কমে গেলেও, বেশির ভাগ পড়ুয়াই ছোট প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছেন।
টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি সৌরিক মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। যেমন তেমন ভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে। এর দায় বিশ্ববিদ্যালয়কে নিতে হবে।’’ দূরশিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার ইনচার্জ সুশীলকুমার মণ্ডলকে প্রশ্ন করতে গেলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে ফোন করা হলেও আর তা ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy