Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Berhampore Municipality

বড় রাস্তায় ত্রিফলা, গলি নিষ্প্রদীপ

কাশিমবাজারের প্রলয় দত্ত বলছেন, ‘‘নিঝুম আলোয় কি আঁধার কাটে ভাই, রাজপথের আলো কি গলিতে পৌঁছয়?’’

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎ মৈত্র
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২০ ০৪:০৯
Share: Save:

পালাবদলের পরে রং বদলেছে শহরের কিন্তু অন্ধকার কেটেছে কি? কাশিমবাজারের প্রলয় দত্ত বলছেন, ‘‘নিঝুম আলোয় কি আঁধার কাটে ভাই, রাজপথের আলো কি গলিতে পৌঁছয়?’’ তাঁর গলায় কিঞ্চিৎ শ্লেষ। বাকিটা হা-হুতাশ এবং আক্ষেপ।

বহরমপুর পুরসভার রাস্তায় নীল সাদা ত্রিফলার বাহার। দু-একটা মোড়ে হাই-মাস্টের শাসন, কিন্তু শহরের অলি-গলিতে এখনও ডুমো আলোর অন্ধকার। শাসক দলেরই এক পুর কাউন্সিলর তাই আড়ালে বলছেন, ‘আলো নেই বলতে পারব না তবে আলো আছে এমন দাবি করাও ভুল!’

বহরমপুর তাই বহরমপুরেই আছে! এখনও কাশিমবাজার থেকে শর্মাপাড়া, সবুজ পল্লি থেকে হঠাৎ কলোনি— নিভু নিভি টিউব লাইট। কিংবা সাবেক হলুদ বাল্ব। কোথাও তা খারাপ হয়ে গেলে তার সারাই-সংস্কারে বছর ঘুরে যায়, এমনই অভিযোগ শহরের বিভিন্ন পাড়ায়।

পাঁচ বছরে পুর পরিষেবার অন্য দিকগুলোর তুলনায় আলোর উন্নতি যে হয়নি তেমন নয়। শহরের মূল রাস্তার এক পাশ ধরে চলে গিয়েছে ত্রিফলার ঝলকানি। সন্ধ্যা হলেই নীল সাদা আলোয় ভরে ওঠে শহরের একাংশ। তবে সেটা অভিজাত এলাকায়। প্রাচীন মুর্শিদাবাদের বানিজ্য নগরী বলা হত যাকে সেই কাশিমবাজার এলাকার ১ এবং ২ নম্বর ওয়ার্ড এখনও অন্ধকারে। ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুজিত নাগ বলছেন “মূল রাস্তায় মতো গলির ভেতরেও বাতিস্তম্ভ আছে ঠিকই তবে তাতে আলো জ্বলে না।” কাশিমবাজার এলাকার হঠাৎ কলোনী, হাতিবাঁধা রোড, সবুজ পল্লী, শর্মাপাড়া সহ বিস্তৃর্ণ এলাকায় কোথাও টিমটিম করছে টিউব লাইট, কোথাও নিতান্তই বাল্ব। আম্বেদকর পল্লির নতুনপাড়া বস্তি, আচার্যপাড়া, নির্মল দত্ত লেন, বৈকুণ্ঠ সেন লেন, রাজাগঞ্জ থেকে বাঙালপাড়া, কুঞ্জঘাটার বেশ কয়েকটি অলিগলি, সৈদাবাদ এলাকার মোহনরায় পাড়া, দয়াময়ী পাড়া, নিমাই ছয়ভাই লেন, পিয়াসির গলি, গোরাবাজার এলাকার নীরুপমা দেবী রোড, আব্দুস সামাদ রোড— সেই একই কথা, বাতিস্তম্ভ আছে, আলো নেই। ১, ২, ৫, ৬, ১৩, ১৪, ১৬, ১৯, ২০, ২২, ২৪, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভেতরে রাস্তায় বেশিরভাগ জায়গাতেই কোথাও একটা কোথাও দুটো আলোক স্তম্ভের আলো টিমটিম করে। কম আলোয় অসামাজিক কাজকর্ম বেশি হয় বলেই মনে করেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক ব্যবসায়ী। ইদানিং শহরে ছিনতাইয়ের ঘটনা হামেশাই ঘটছে এবং তা এই প্রায়ান্ধকার অবস্থার জন্যই।

২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দনা সরকারও মেনে নিচ্ছেন, “প্রশাসক পুরসভার দায়িত্ব নেওয়ার পর ইলেকট্রিক সামগ্রী, বাল্ব-টিউবলাইট পুরসভা থেকে আর পাওয়া যায় না। ফলে আলোর অভাবে এলাকা অন্ধকারেই ডুবে থাকে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE