১৯৩৯ সালের নভেম্বরে বেলডাঙায়। ইনসেটে রূপকুমার প্রামাণিক
বেলডাঙায় বার তিনেক এসেছেন সুভাষচন্দ্র। তবে রাত কাটিয়েছিলেন এক বারই এবং তা আমাদের বাড়িতে। ১৯৩৯ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে আমাদের দোতলা বাড়ির উপরের তলায় একটি ঘরে ছিলেন তিনি। বাবার কাছে শোনা সেই স্মৃতি এখনও প্রতিটি লাইন মনে আছে। এখনও সে ঘরের সেই খাট, চেয়ার প্রতিদিন পরিষ্কার করার সময়ে গায়ে কাঁটা দেয়।
এখনও বেলডাঙায় এসে বহু মানুষ আমাদের বাড়িতে আসেন, ‘একবার সেই খাটটা দেখাবেন!’ অনেক সময়ে বাড়ির বাইরে দেখি ছোটখাটো ভিড় জমে গেছে, খোঁজ নিলেই জানতে পারি— ‘নেতাজি ছিলেন তো এ বাড়িতে, তাই দেখছি!’
বাবার মুখে শুনেছি, বেলডাঙায় কয়েকটি সভা করতে এসে আটকে পড়েছিলেনয়। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা করা হয়েছিল আমাদের বাড়িতে। নানা পদের খাবারও করা হয়েছিল তাঁর জন্য। শুনেছি, তিনি খেয়েছিলেন যৎসামান্য। বেলডাঙার মনোহরা অতি বিখ্যাত। তবে তিনি তা সামান্য ভেঙে খেয়েছিলেন। বাকিটা বাবা ও অন্যরা ভাগাভাগি করে খেয়েছিলেন। বাবার মুখে শুনেছি, সেই ঘরে রাত জেগে লাঠি হাতে দুয়ার পাহারায় ছিলেন বাবা আর তাঁর এক বন্ধু। শুনেছি, ভোরে উঠেই সুভাষচন্দ্র চলে যান।
বেলডাঙার বাসিন্দা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy