চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের নিম্নমানের ওষুধ দেওয়ার প্রতিবাদে চিকিৎসককে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে থানারপাড়ার ঘিয়াঘাট ১০৭ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা করিমপুর নতিডাঙা রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ এসে তাঁদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলে। তার পরেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ওই চিকিৎসক প্রায় ঘণ্টাখানেক আটক ছিলেন। শেষে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক ঘটনাস্থলে এসে তদন্তের আশ্বাস দিলে চিকিৎসককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পিপুলখোলার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৮২ টি শিশুর নাম নথিভুক্ত রয়েছে। এ দিন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধ দেওয়ার কথা ছিল। নতিডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালের এক চিকিৎসক সেই ওষুধ দেন। পরে একটি শিশু অসুস্থ বোধ করলে কয়েক জন অভিভাবক ওষুধের প্যাকেটের গায়ে লেখা তারিখ খুঁটিয়ে দেখেন। তাতেই চোখে পড়ে, ফেব্রুয়ারি মাসে ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে। ওই ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেটের দু’টি করে পাতায় মোট কুড়িটি ট্যাবলেট প্রতি শিশুকে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন একটি করে খেলেও ওষুধের কোর্স শেষ হওয়ার কথা মার্চ মাসের চার তারিখে। অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও সেই ওষুধ শিশুদের খেতে হবে!
এতেই খেপে ওঠেন অভিভাবকেরা। নিম্নমানের ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে তাঁরা চিকিৎসককে ঘরে আটকে রাখেন। খবর দেওয়া হয় দফতরের আধিকারিকদের। অভিযুক্ত চিকিৎসক দীপক কুমার মণ্ডল জানান, করিমপুর ২ ব্লক এলাকার মোট ৩৪৭টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও ১৮৪ টি স্কুলের পড়ুয়াদের বছরে দু’বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধ দেয় স্বাস্থ্য দফতর। তাঁর কথায়, "প্রত্যেককে কুড়িটি ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছিল এবং প্রতিদিন দু’টি করে ওষুধ খাওয়ার কথা বলেছিলাম যাতে এই মাসের মধ্যেই ওষুধ শেষ হয়ে যায়।" নদিয়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘ওই কেন্দ্রে যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তার মেয়াদ ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবে। তাই ওই ওষুধ খেয়ে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy