Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

শান্তিপুরের ব্রতীন তৃতীয় হল রাজ্যে

ছ’জন গৃহশিক্ষক থাকলেও স্কুলের পড়াশোনাই তাকে বেশি সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে ব্রতীন।

বাবা-মায়ের সঙ্গে ব্রতীন। শান্তিপুরে। নিজস্ব চিত্র

বাবা-মায়ের সঙ্গে ব্রতীন। শান্তিপুরে। নিজস্ব চিত্র

সম্রাট চন্দ
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৯ ০০:১৩
Share: Save:

পড়াশোনায় মোটেই মনোযোগ ছিল না। কিন্তু অষ্টম শ্রেণিতে প্রথম স্থান পাওয়ার পর আমূল বদল। শুরু হয় বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। মাধ্যমিকে রাজ্যে তৃতীয় স্থান পেয়েছে সে দিনের অমনোযোগী সেই ছেলেটাই!

শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের ছাত্র ব্রতীন মণ্ডলের পরিবারের আশা ছিল, ছেলে ভাল ফল করবে। কিন্তু সে রাজ্যে তৃতীয় স্থান পাবে, এতটাও আশা করেননি তার বাবা-মা। ব্রতীনের বাবা বিপ্লব মণ্ডল বলেন, “ছেলের ভাল ফলের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী ছিলাম। তবে ছেলেকে পড়াশোনার জন্য কখনও চাপ দিইনি।’’

বাবা বিপ্লব ধানতলা হাইস্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক, মা বিজলি মণ্ডল ফুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকা। ফেলুদা ভক্ত ব্রতীনের আলমারি জুড়ে থাকা পদার্থবিদ্যা এবং অন্যান্য পড়ার বইয়ের মাঝে উঁকি মারে গোয়েন্দা গল্পের বইও। ছ’জন গৃহশিক্ষক থাকলেও স্কুলের পড়াশোনাই তাকে বেশি সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে ব্রতীন। সে বলে, “গৃহশিক্ষক থাকলেও স্কুলের শিক্ষকদের থেকেই বেশি উপকৃত হয়েছি। বাঁধাধরা নিয়ম মেনে পড়িনি। ছ’সাত ঘন্টার মতো পড়েছি।” পাশাপাশি সে জানায়, বড় হয়ে পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করতে চায়। এখন লক্ষ্য উচ্চমাধ্যমিকেও ভাল ফল করা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্রায় দু’দশক পর মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছে শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের কোনও পড়ুয়া। স্বাভাবিকভাবেই স্কুলে খুশির হাওয়া। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিংশুক চক্রবর্তী বলেন, “দীর্ঘ দিন পরে এই ধরনের ফল। এতে অন্যরাও আগামিদিনে উৎসাহ পাবে।”

ব্রতীনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে টিভি খারাপ হয়ে গেলেও তাঁরা সারানোর কথা ভাবেননি। মঙ্গলবার সকালে মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় চোখ রেখে বোঝা যায়, সেই স্বার্থত্যাগ বৃথা যায়নি!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE