Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
tmc

মতুয়া ভোট কি ফেরাতে পারবেন আবীর?

রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত  রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর পূর্ব বা কৃষ্ণগঞ্জের মতো বিধানসভা এলাকায় মতুয়া ভোট বড় ফ্যাক্টর। গত লোকসভা ভোটে মতুয়া অধ্যুষিত এই এলাকাগুলিতে বিজেপির চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সম্রাট চন্দ
রানাঘাট শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০৩:২১
Share: Save:

বিজেপির হাতে চলে যাওয়া মতুয়া ভোট ফেরাতে রাজ্যসভার সদস্য আবীররঞ্জন বিশ্বাসকে সামনে রেখে মাঠে নামতে চলেছে তৃণমূল। যে পাঁচটি বিধানসভার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে তার সব ক’টিই তফসিলি তথা মতুয়া অধ্যুষিত। এই প্রথম এখানে আলাদা করে দলের কো-অর্ডিনেটর নিযুক্ত হল। যদিও এই কৌশল কতটা কাজ করবে, দলেরই সকলে সে সম্পর্কে নিশ্চিত নন।
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর পূর্ব বা কৃষ্ণগঞ্জের মতো বিধানসভা এলাকায় মতুয়া ভোট বড় ফ্যাক্টর। গত লোকসভা ভোটে মতুয়া অধ্যুষিত এই এলাকাগুলিতে বিজেপির চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বাইরেও নদিয়ার দক্ষিণ প্রান্তের আরও দু’টি বিধানসভা এলাকা হরিণঘাটা এবং কল্যাণীতেও মতুয়া ভোট রয়েছে। বিজেপি-তৃণমূল উভয় পক্ষই এই ভোটব্যাঙ্কের দখল নিয়েই মরিয়া ।
আগে জেলায় দলের দু’জন কোঅর্ডিনেটর ছিলেন। এ বারের রদবদলে বাড়তি নিয়োগ করা হয়েছে দক্ষিণের তফসিলি অধ্যুষিত বিধানসভা এলাকায় কো-অর্ডিনেটর হিসাবে আবীররঞ্জনকে। হাঁসখালিতে আদি বাড়ি তাঁদের। রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী এবং সাংসদ আনন্দমোহন বিশ্বাসের ছেলে আবীর ২০০১ সালে তৎকালীন হাঁসখালি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে হেরে গিয়েছিলেন। ২০০৩ সালে আনন্দমোহনের মৃত্যুর পরে উপ-নির্বাচনে তৎকালীন নবদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্রেও তিনি তৃণমুলের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে হেরে যান। ২০১১ সালে রানাঘাট দক্ষিণ আসনে জিতে বিধায়ক হন তিনি। কিন্তু ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ফের হরে যান। ২০১৮ সালে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয়।
বিজেপির মুখ থেকে ভোট ছিনিয়ে আনতে যাঁকে সামনে ঠেলে দিয়েছে তৃণমূল সেউই আবীরের কিন্তু সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা তেমন বেশি নয়। ২০১১ থেকে ছ’বছর দলের রানাঘাট দক্ষিণ বিধানভা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এ ছাড়া আর সে ভাবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পাননি। রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পরে জেলার রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও বিশেষ সক্রিয় ছিলেন না তিনি। তার উপরে রয়েছে রানাঘাট উত্তর-পূর্ব, কৃষ্ণগঞ্জ, হরিণঘাটায় দলীয় কোন্দল। ফলে তিনি আদৌ কতটা কাজে আসবেন, তা নিয়ে দলেরই একাংশের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আবীর অবশ্য বলছেন, “মানুষ কেন দূরে সরে গেল, তার কারন খোঁজা এবং পুরনো কর্মীদের ফিরিয়ে আনাই হবে লক্ষ্য। আর এটা চেনা জায়গা, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে অসুবিধা হবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Nadia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE