Advertisement
১১ মে ২০২৪

নবদ্বীপে সভার পোস্টার নিয়ে অস্বস্তিতে অধীর

তাঁর জনসভা নিয়ে নদিয়া জেলা কংগ্রেসের পোস্টার অস্বস্তিতে ফেলল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। প্রকাশ্য জনসভায় দলের এই কাজ ‘ঠিক হয়নি’ বলে মেনে নিলেন তিনি। শনিবারের জনসভা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে নবদ্বীপ শহর ছেয়ে ফেলা ওই পোস্টারে ‘বিশেষ ঘোষণা’ ছিলযাঁরা সারদা-সহ অন্য বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে ফেরত পাননি, তাঁরা যেন লগ্নির প্রমাণপত্র নিয়ে এ দিন অধীরের সভা-মঞ্চে হাজির হন। ওই বিশেষ ঘোষণাকে ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

নবদ্বীপে অধীর চৌধুরী। শনিবার সুদীপ ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।

নবদ্বীপে অধীর চৌধুরী। শনিবার সুদীপ ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:২৭
Share: Save:

তাঁর জনসভা নিয়ে নদিয়া জেলা কংগ্রেসের পোস্টার অস্বস্তিতে ফেলল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। প্রকাশ্য জনসভায় দলের এই কাজ ‘ঠিক হয়নি’ বলে মেনে নিলেন তিনি।

শনিবারের জনসভা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে নবদ্বীপ শহর ছেয়ে ফেলা ওই পোস্টারে ‘বিশেষ ঘোষণা’ ছিলযাঁরা সারদা-সহ অন্য বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে ফেরত পাননি, তাঁরা যেন লগ্নির প্রমাণপত্র নিয়ে এ দিন অধীরের সভা-মঞ্চে হাজির হন। ওই বিশেষ ঘোষণাকে ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান-উতোর। সভা ভরাতে কংগ্রেস ওই ‘কৌশল’ করেছে বলেও টিপ্পনী কেটেছিল অন্য রাজনৈতিক দলগুলি।

নবদ্বীপে নিশান ক্লাবের মাঠে এ দিনের সভায় অধীর বলেন, “আমাদের এই সভাকে কেন্দ্র করে একটা ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। যেখানে পোস্টারে বলা হয়েছে, সারদা-কাণ্ডে যাঁরা প্রতারিত, যাঁদের নাম নথিভুক্ত হয়নি, তাঁদের নাম-ঠিকানা-কাগজপত্র নেওয়ার জন্য এই সভায় আহ্বান জানিয়েছি। আমি মনে করি, এ ধরনের পোস্টার দেওয়া ভুল হয়েছে। যদি এই ভুল বার্তায় কারও কোনও অসুবিধা হয়ে থাকে, তা হলে আমরা তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছি।”

তবে ‘অস্বস্তিকর’ এই পোস্টার দেওয়া হয়েছিল যাঁদের উদ্যোগে (নদিয়া জেলা কংগ্রেস) তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা বলেননি অধীর। জেলা কংগ্রেসের তরফে তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হবে কি? জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসীমকুমার সাহা, জেলা কংগ্রেস সম্পাদক নির্মল সাহা আমতা-আমতা করে বলেন, “প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে অস্বস্তিতে ফেলার কোনও উদ্দেশ্য ওই পোস্টারের উদ্যোক্তাদের ছিল না। পোস্টারে কোথাও বলা হয়নি প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ যাঁরা জানেন না কোথায়-কেমন করে অভিযোগ জানাতে হবে, তাঁদের সেই পথ দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।”

পুলিশের হিসেবে এ দিন অধীরের সভায় লোক হয়েছিল হাজার দু’য়েক। সভার আগে-পরে এ দিন নদিয়া ও বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন সংস্থায় লগ্নির প্রমাণপত্র নিয়ে হাজির হন জনা চল্লিশ। উদ্যোক্তাদের কাছে কাগজপত্র জমা দেন জেলার বীরনগরের চন্দ্রশেখর বণিক, বিষ্ণুপুরের জয়দেব দে, আনন্দবাসের কিতাব শেখরা। সভায় আসা ‘প্রতারিত’দের একটা বড় অংশের দাবি, প্রদেশ সভাপতির সভার পোস্টারে প্রথম ওই ‘বিশেষ ঘোষণা’ দেখেছেন তাঁরা। গ্রামে গাড়ি নিয়ে সভার প্রচারে গিয়েও কাগজপত্র নিয়ে সভায় আসতে বলে এসেছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, “সারদা কমিশনে (শ্যামল সেন কমিশনে) নানা কারণে নাম তোলা হয়নি আমাদের। দেখি, ওঁরা (কংগ্রেস) কিছু পারেন কি না?”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

adhir nabadwip poster
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE