আরএসপির রাজ্য নেতৃত্ব বার বার অনুযোগ করছিলেন, সিপিএম তাদের স্বার্থ দেখছে না। আরএসপির জেতা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও বড় শরিক হিসেবে সিপিএম তার কোনও প্রতিবাদ করছে না। এ বার আরএসপির মান ভাঙাল সিপিএম। বড়ঞা কেন্দ্রে আরএসপি ও কংগ্রেস—উভয়েই প্রার্থী দিয়েছে। এই কেন্দ্রে সিপিএমের কংগ্রেসের পাশে নেই। তারা সমর্থন করছে ফ্রন্টের শরিকদল আরএসপিকে। মঙ্গলবার বড়ঞার ডাকবাংলা বাজারে আরএসপি প্রার্থীর সমর্থনে মিছিলে পা মেলাল সিপিএম নেতারা।
বড়ঞা আরএসপির শক্তি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০১১ সালে ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট বেঁধে লড়াই করে। ফলে আরএসপি প্রার্থী বিনয় সরকার মাত্র ৬১৬ ভোটে হারে। জেতেন কংগ্রেসের প্রতিমা রজক। আরএসপির এক নেতা বলছেন, ‘‘গত বার এই কেন্দ্রে তৃণমূল ও কংগ্রেস জোট হয়েছিল। তাই আমাদের প্রার্থী সামান্য ভোটে হেরেছিলেন। ওটা ছিল আমাদের নৈতিক জয়। ফলে ওই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়ে ভুল করেছে।’’ কান্দি মহকুমার চারটি আসনের মধ্যে কান্দি ও খড়গ্রামে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। সেখানে বামেরা কোনও পাল্টা প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু বড়ঞা ও ভরতপুরে এখনও পর্যন্ত জোটের জট রয়ে গিয়েছে। বড়ঞায় কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে। জেলার আরও কয়েকটি আসনে কংগ্রেস ও আরএসপি মুখোমুখি লড়ছে। সেখানে কিন্তু জোটের বৃহত্তর স্বার্থে সিপিএম কংগ্রেস প্রার্থীকেই সমর্থন করছে।
ব়ড়ঞায় আরএসপি আরএসপির প্রার্থী হয়েছন বিনয় সরকার। এ দিন তাঁর সমর্থনে সিপিএম মিছিল করেছেন। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি, সিপিএমের নিচুতলার কর্মীরা তাদের প্রার্থীকেই সমর্থন করবে।
প্রতিমাদেবী বলেন, “জোট হয়েছে সিপিএমের সঙ্গে। সিপিএমের উপরের কয়েকজন নেতা আরএসপির হয়ে প্রচার করলেও বুথস্তরে সিপিএম কর্মীরা আমার হয়েই প্রচার করছে।’’ তবে স্থানীয় সিপিএম নেতাদের একাংশ সরাসরি বলছেন, ‘‘আরএসপি আমাদের শরিকদল। তাই আরএসপি প্রার্থীকে জেতানোই আমাদের লক্ষ্য।’’ আর বিনয়বাবু বলেন, ‘‘এখানে সিপিএম আমাদের সঙ্গেই রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy