Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

এখনও রান্না হয়নি কেন? স্ত্রী-র মুন্ডু কেটে নিল স্বামী

শুক্রবার দুপুরে মুনেরার ছিন্ন মস্তক নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিল সাহেব শেখ। তবে, রক্তাক্ত হাঁসুয়া আর হাতের মুঠোয় ধরা স্ত্রীর মাথা— পালানোর পথেই ধরা পড়ে যায় সে।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাগরদিঘি শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:৪৬
Share: Save:

দুপুর গড়িয়ে গেল, রান্না হল না কেন! বদরাগী স্বামীর তর সয়নি, উনুনের সামনে বসে থাকা স্ত্রী মুনেরা বিবির (৪৫) চুলের মুঠি ধরে হাঁসুয়ার ঘায়ে কেটেই ফেলেছিল মাথা। তার পর, শুক্রবার দুপুরে মুনেরার ছিন্ন মস্তক নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিল সাহেব শেখ। তবে, রক্তাক্ত হাঁসুয়া আর হাতের মুঠোয় ধরা স্ত্রীর মাথা— পালানোর পথেই ধরা পড়ে যায় সে। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে পাট খেতে নেমে পড়েছিল সাহেব। পাট খেতে ঢুকে লুকিয়ে পড়ার চেষ্টা করেও পার পায়নি অবশ্য। পড়শিরারা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: বন্ধ ঘরে মা-ছেলের দগ্ধ দেহ, রহস্য

তবে, ব্যাপারটা এত সহজে হয়নি। পাট খেতে তাকে ধরতে গেলেই গ্রামবাসীদের দিকে মারমুখী হয়ে তেড়ে গিয়েছিল সাহেব। ঘন্টা দুয়েক এই লুকোচুরির মাঝেই খবর গিয়েছিল পুলিশের কাছে। এক পুলিশ কনস্টেবল হাতের লাঠি ছুঁড়ে তার হাতের হাঁসুয়াটা হাতছাড়া করতেই গ্রামবাসীরা ঝাঁপিয়ে ধরে ফেলে তাকে। তবে, এই সময়ে স্ত্রীর মুণ্ডটি সে কোথাও ছুঁড়ে ফেলে দেয়। পুলিশ এখন সেই ছিন্ন-মাথার খোঁজ করছে। গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য টুকটুকি বিবি বলছেন, “যার সঙ্গে এত দিন ঘর করছে, সাত-সাতটি ছেলেমেয়ে তাকে এ ভাবে খুন করা যায়!’’ তবে, সাহেবের ছেলেমেয়েরাও এক বাক্যে জানিয়েছেন, বাবা তাদের বড়ই রগচটা। খেপে গেলে উন্মত্ত হয়ে যায়। তাদের প্রত্যেকের দাবি, ‘ফাঁসি’ হওয়াই উচিৎ সাহেব শেখের। পেশায় রাজমিস্ত্রি সাহেব এ দিন বাড়ি ঢুকে দেখে রান্না তখনও হয়নি। চিৎকার করতে থাকে সে। তার পুত্রবধূ সখিনা খাতুন বলেন, ‘‘বাবা মেরেই ফেলব বলে রান্নাঘরের দিকে ছুটে গেল। খানিক পরে দেখি মায়ের মুণ্ডহীন দেহ পড়ে রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

murder Arrest Sagardighi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE