সন্ত্রস্ত: বাড়ি ভাঙচুরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দিনহাটার ভেটাগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
রাজনৈতিক সংঘর্ষে বাড়ি ঘর ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিনহাটার ভেটাগুড়ি। পুজার মুখে এই ঘটনায় ভেটাগুড়িতে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি তুলে বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা পথ অবরোধ করেন। পাশাপাশি দোকানপাট ছিল বন্ধ। এ দিন অবরোধের ফলে কোচবিহার-দিনহাটা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যায় পড়তে হয় নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আশ্বাসের পর বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, শান্ত ভেটাগুড়িকে অশান্ত করার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ করাই শুধু নয়, গুলি বোমা ছুড়ে পরিবেশকে অশান্ত করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকেও সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা হয় বিজেপির বিরুদ্ধে।
বিজেপি ২৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি গোপাল চন্দ্র অভিযোগ করে বলেন, “ভেটাগুড়ি এলাকার দলীয় নেতাদের লক্ষ করে গত কাল রাতে পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় দলের কয়েক জন কর্মী আহত হন। তাঁদের এক জনকে কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ পাশাপাশি তিনি জানান, বেশ কিছু বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে এবং এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে এদিন পথ অবরোধ করা হয়। অবিলম্বে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামীতে ফের আন্দোলনের হুমকি দেন বিজেপি নেতৃত্ব।
যদিও তৃণমূলের দিনহাটা এক ব্লক নেতা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেন বলেন, “ওই ঘটনার সাথে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপির আদি গোষ্ঠী দিলীপ ঘোষ ও নব্য গোষ্ঠী মুকুল রায়ের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত ওই দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিজেপি তৃণমূলকে নানা ভাবে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।’’
দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগে নাজিরহাটে ব্যবসায়ীদের উপর আক্রমণ হলে ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নামেন। এলাকায় শান্তি বৈঠকের পর ব্যবসায়ীরা স্বস্তি ফিরে পান। পুজোর মুখে ভেটাগুড়িতে রাজনৈতিক হিংসা ব্যবসায় ক্ষতির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে দিনহাটা থানার আই সি সঞ্জয় দত্ত বলেন অবরোধের খবর পেয়েই বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে যায় এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে আলোচনার পর বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy