Advertisement
০৫ মে ২০২৪

বড়দের সঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত শিশুরাও

জ্বর নিয়ে উদ্বেগের পারদ চড়ছেই কোচবিহারে। বড়দের সঙ্গে শিশুদের মধ্যেও আক্রান্ত বাড়ছে। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৮ ০৩:১৬
Share: Save:

জ্বর নিয়ে উদ্বেগের পারদ চড়ছেই কোচবিহারে। বড়দের সঙ্গে শিশুদের মধ্যেও আক্রান্ত বাড়ছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে জেলায় ইতিমধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা হাসপাতালে অন্তত ১০ জন চিকিৎসাধীন। জেলার অন্য মহকুমা হাসপাতালগুলিতেও জ্বরের প্রকোপ রয়েছে। গত দু’দিনে কোচবিহার জেলা হাসপাতালের বর্হিবিভাগে দেড় শতাধিক শিশু জ্বরের অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে। যদিও ওই শিশুদের প্রায় সবাই আবহাওয়ার জেরে ‘ভাইরাল’ সংক্রমণে আক্রান্ত বলে চিকিৎসকদের ধারণা। এই পরিস্থিতিতে মশাবাহিত রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা রুখতে জেলার উপসবাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে আলোচনা সভার পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার থেকে ওই কাজ হবে।

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “মশার কামড় থেকে নিজেদের বাঁচাতে সচেতনতা সবথেকে বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। জেলার ৪০৬টি উপসবাস্থ্যকেন্দ্রেই তাই বাসিন্দাদের নিয়ে সভা করে সচেতনতা বাড়ানর ব্যাপারে পরিকল্পনা হয়েছে।স্প্রে করার কাজও হচ্ছে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখছেন জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারাও। ইতিমধ্যে জেলাশাসক কৌশিক সাহা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারজে রেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ছুটি, না জানিয়ে ‘স্টেশন লিভ’ করা নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তুফানগঞ্জের নাককটিগছে সম্প্রতি মারা যান আখিমা বেওয়া (৬০)। শুক্রবার ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রবি দাস (৬৩) মারা যান। দুজনের সিএসএফ পরীক্ষার রিপোর্টেই জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের জীবাণু মিলেছে। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, সাম্প্রতিক সময়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জেলায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জেই আক্রান্তের পাশাপাশি অ্যাকুইট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রম নিয়ে অসুস্থরাও রয়েছেন। সব মিলিয়ে জানুয়ারি থেকে অগস্টের ২৪ তারিখ পর্যন্ত জেলায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জন।

সব মিলিয়ে জেলায় ৫ জন জেই, ৫ জন এইএসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে অসমের দু’জন রয়েছেন বলেও দাবি। চলতি বছরে ডেঙ্গিতে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তুফানগঞ্জের এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন। বাকিরা সবাই চিকিৎসার পর সুস্থ। কিউলেক্স মশার দৌরাত্ম্যে ওই উদ্বেগ বেড়েছে। তাছাড়া দিনে টানা তিন সপ্তাহ চড়া রোদ হচ্ছে, ভারী বৃষ্টি নেই। এতে মশার বংশবিস্তারে সুবিধে হচ্ছে। এক স্বাস্থ্য কর্তার দাবি, জেই-তে মৃতদের সবাই প্রবীণ। তাই প্রতিষেধকের আওতায় কেউই ছিলেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Doctor Fever Children
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE