আশায়: জলপাইগুড়ির একটি দোকানে। ছবি: সন্দীপ পাল
শনিবারের বিকেল। দিনবাজারের একটি রেডিমেড পোশাকের দোকানে তখন বেশ ভিড়। কর্মীরা উৎসাহে বিভিন্ন পোশাক দেখাচ্ছেন। কাউন্টারে বসা ম্যানেজারের মুখেও হাসি। বেশ কিছু মহিলা ভিড় করে কাপড় দেখছেন। হঠাৎ ওই দলের এক তরুণীর মোবাইলে ফোন এল। কথা বলে তিনি বাকিদের বললেন, ‘‘দাদার ফোন। ডাকছে। এখনই সভা শুরু হবে।” হুড়মুড় করে বেরিয়ে গেল ভিড়টা। তখন দোকানের টেবিলে জমে জামাকাপড়ের স্তূপ। পুজোর আগের দ্বিতীয় শনিবারে জলপাইগুড়ির বাজারের ছবি ছিল এমনই।
দু’সপ্তাহও বাকি নেই পুজোর। অন্য বছর এমন সময়ে ঘিঞ্জি দিনবাজারে হেঁটেও যাতায়াত করা যায় না। শনি-রবিবার হলে দোকানের সামনে ক্রেতাদের লাইন জমতেও দেখা গিয়েছে। এ বার সব উধাও বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এখন তো মাসের শেষ, তাই কি খদ্দের কম থাকতে পারে? শুনেই প্রতিবাদ করলেন দোকানের কর্মী চন্দন দে সরকার। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি। তাঁর যুক্তি, “পুজোর বাজারের জন্য সারা বছর ধরে টাকা বাঁচান সকলে। মাসেরশেষে পুজো পড়েছে বহুবার, কখনও এমন হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy