একাধিক সন্ত্রাসের অভিযোগ থাকলেও আধা সামরিক বাহিনী পেল না কোচবিহার। তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিরোধী দলগুলির মধ্যে। আজ, শনিবার রাজ্যের ৯১টি পুরসভার সঙ্গে কোচবিহারের চারটি পুরসভায় নির্বাচন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পাশের জেলার পুরসভাগুলির জন্য আধা সামরিক বাহিনী দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের ক্ষেত্রে সে পথে হাঁটেনি নির্বাচন কমিশন। কোচবিহারের জেলাশাসক পি ঊল্গানাথন বলেন, “আধা সামরিক বাহিনী এখনও আমরা পাইনি। তবে চার পুরসভার সর্বত্র পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনওরকম গণ্ডগোলের চেষ্টা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই কোচবিহারের চার পুরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ডে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। তুফানগঞ্জে ভোট প্রচারের জন্য এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়াও গাঁধিগিরির কায়দায় ভোট প্রচারে বাধা, বাইক বাহিনীর চোখ রাঙানো, ফরওয়ার্ড ব্লক পার্টি অফিসে হামলার মতো ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ প্রশাসনকে ভোটে ব্যবহারের হুমকিও দেন। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের পুলিশ, প্রশাসন দিয়ে কতটা নিরপেক্ষ ভোট হবে, তা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “আধা সামরিক বাহিনী পেলে ভাল হত। পুলিশ-প্রশাসন এখনও পর্যন্ত ঠিক কাজ করছে।” কোচবিহারের বিজেপি জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, “শাসক দলের জেলা সভাপতি প্রশাসনকে ব্যবহারের যে কথা বলেছিলেন তাই প্রমাণিত হল। জেলার পুলিশ-প্রশাসন শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। এর পরে ভোটের দিন গণ্ডগোল হলে দায় বর্তাবে শাসক দলের উপরেই।” সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “নির্বাচন কমিশনারের শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। আশঙ্কা করছি তৃণমূল জেলা সভাপতি যা বলেছিলেন সেটাই হতে যাচ্ছে। তার পরেও সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের আবেদন আপনারা নিজের ভোট নিজে দিন।” তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, কোথাও কোনও সন্ত্রাস নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy