প্রতীকী ছবি।
একটি বাড়ির পিছনে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল এক ছাত্রীর পচাগলা দেহ। শুক্রবার জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রী দিন দশেক আগে নিখোঁজ হয়েছিল। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ প্রথমে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে পরিবারের দাবি। এ দিন দেহ উদ্ধারের পরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় এলাকায়। অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তিন জনকে গ্রেফতার করেছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতরা প্রধান পাড়ার রহমান আলি, শৌলমারির জমিরুল হক, সদর ব্লকের ডাঙামারির তমিরুল হক।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে বদল করে সদর সি আই দীপোজ্জ্বল ভৌমিককে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।
মৃতার পরিবারের দাবি, ১০ অগস্ট বাড়িত একটি ফোন আসার পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় তাদের মেয়ে। তারপর থেকে আর তার খোঁজ মিলছিল না। ১১ অগস্ট পুলিশের কাছে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ফোন নম্বরটিও দেওয়া হয়। ছাত্রীর পরিবারের তরফে এক আত্মীয় বলেন, ‘‘পুলিশকে বলেছিলাম। কিন্তু পুলিশ কিছুই করেনি।’’ পরিবারের দাবি, পুলিশ পদক্ষেপ করছেন না দেখে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সূত্রের খবর, বিধায়কের তরফে খোঁজ করা শুরু হয়।
তারপরেই ২০ অগস্ট এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে ওই রাতেই জমিরুলকে আটক করা হয়। তারপরে শুক্রবার জেরা করে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। এ দিনই গ্রেফতার করা হয় তমিরুলকেও। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় উঠে আসে রহমান ছাত্রীকে নিয়ে তমিরুলের বাড়িতে যায়। সেখানে তাকে আটকে রেখে জমিরুলকে খবর দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, চার-পাঁচ দিন দফায় দফায় তিন জন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে জেরায় তথ্য উঠে এসেছে। এরপর রহমানের বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ওই ছাত্রীকে। সেখানে খুন করে তাকে সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখা হয়।
এ দিন থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। সেখানে হাজির হয়ে খগেশ্বর রায় বলেন, ‘‘পুলিশ যদি সময় মতো পদক্ষেপ নিত তাহলে ছাত্রীর মৃত্যু হত না। অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই।’’ ধৃতদের আট দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘ধৃতরা জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে। অভিযুক্তদের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy