Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Mamata Banerjee

মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি অনীতের

পাহাড়ের কাজের পরিবেশ, কর্মীদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রম এবং তাঁদের পরিবারের কথা মাথায় রেখে স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া চালু করা হোক।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৪৯
Share: Save:

পাহাড়ে জিটিএ-র অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা। জিটিএ সূত্রের খবর, ৩১ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া এক চিঠিতে অনীত জানিয়েছেন, একবার স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েও রাজনৈতিক অস্থিরতায় তা বন্ধ হয়ে যায়। পাহাড় শান্ত হওয়ার তিন বছর পর এখন আবার কর্মীরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করছেন। পাহাড়ের কাজের পরিবেশ, কর্মীদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রম এবং তাঁদের পরিবারের কথা মাথায় রেখে স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া চালু করা হোক। রাজ্য সরকারের তরফে অবশ্য এই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

জিটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সেই ৮০-এর দশক থেকে কর্মীরা কাজ করছেন। কিন্তু ওঁদের দাবি পূরণ হয়নি। এ বার অনড় মনোভাব নিয়ে কর্মীরা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। সব জিটিএ অফিসে কাজ বন্ধ। কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমাদের আশা, মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের স্বার্থে নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নেবেন।’ জিটিএ সূত্রের খবর, সুবাস ঘিসিংয়ের আমলে পার্বত্য পরিষদ গঠন হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে কর্মী নিয়োগ শুরু হয়। গ্রুপ-এ, বি, সি এবং ডি বিভাগ মিলিয়ে দফায় দফায় ৪২৭৯টি শূন্য পদ তৈরিও হয়। এখন পর্যন্ত সব শাখা, বিভাগের ৯০ শতাংশের বেশি কর্মীর স্থায়ীকরণ হয়নি। একমাত্র রাজ্যের সরকার পরিবর্তনের পর শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্থায়ী হয়েছেন। বর্তমানে জিটিএ-র বিভিন্ন দফতর, শাখা বা বিভাগ মিলিয়ে গ্রুপ-এ তে ৩১০, গ্রুপ-বিতে ৫২১, গ্রুপ সি-তে ২৫২৬, গ্রুপ ডি-তে ৭৭৫ জন কাজ করছেন।

২০০৯ সালে শূন্যপদের ভিত্তিতে কর্মীদের চাকরির সময়, মেয়াদ, অভিজ্ঞতাকে ধরে স্থায়ী নিয়োগের জন্য দার্জিলিঙের জেলাশাসককে নির্দেশ দেয় রাজ্য। কিন্তু পাহাড়ে পরপর রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য তা আর কার্যকর করা যায়নি। অনীত বলেন, ‘‘পাহাড় এখন স্বাভাবিক। তাই আন্দোলন হচ্ছে। আমাদেরও গুরুত্ব দিয়েই দেখতে হবে।’’ জিটিএ কর্মীরা ১৭ অগস্ট থেকে একজোট হয়ে ইউনাইটেড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের ছাতার তলায় আন্দোলনে নেমেছেন। প্রথমে লালকুঠি এবং বিভিন্ন দফতরে ঘেরাও বিক্ষোভ চলে। তার পরে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ দিনের জন্য পেনডাউন শুরু হয়েছে। সংগঠনের সচিব সুভাষ ছেত্রী বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকার, জিটিএ দফায় দফায় সময় দিয়ে যাচ্ছি। নইলে এর থেকে বড় গণতান্ত্রিক আন্দোলন হবে।’’

পাহাড়ে বিনয়, অনীতের বিরোধীরা অবশ্য মনে করছেন, গোটাই আগামী বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে করা হচ্ছে। অস্থায়ী কর্মীদের দাবি বহু পুরনো। কিন্তু এত দিন তা নিয়ে কিছু হয়নি। হঠাৎ ভোটের আগে দৌড়ঝাঁপ শুরু হল। জিটিএ আর রাজ্য সরকার মিলে ভোটের আগে কর্মীদের স্থায়ীকরণের পুরস্কার দেবে বলেই মনে হচ্ছে। তবে বিরোধীদের একাংশ মনে করে, তবুও কর্মীদের সমস্যা মিটলে সেটা ভালই হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee GTA Chairman Anit Thapa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE