বন্দি: মাদারিহাটের হান্টাপাড়া চা বাগানে পাতা হয়েছিল দু’টি খাঁচা। তার মধ্যে নার্সারি সাইডে পাতা খাঁচাটিতে ধরা পড়ে চিতাবাঘটি। নিজস্ব চিত্র
বন দফতরের পাতা খাঁচায় মাদারিহাটের হান্টাপাড়া চা বাগান এলাকায় ধরা পড়ল একটি চিতাবাঘ৷ বৃহস্পতিবার সকালে ওই চিতাবাঘটি খাঁচাবন্দি হয়। তারপর সেটিকে উদ্ধার করে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যান বনকর্মীরা। এই নিয়ে শেষ দু’মাসে মাদারিহাট থেকে পাঁচটি চিতাবাঘ ধরা পড়ল।
বাগান সূত্রে খবর, মাদারিহাটের চা বাগান এলাকাগুলিতে বসবাসকারী এলাকার বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে চিতাবাঘ। শেষ দু’মাসে মাদারিহাটের বিভিন্ন চা বাগানে চিতাবাঘের হানায় তিন শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন এক বৃদ্ধ ও এক কিশোর৷ মাদারিহাটেরই গ্যারগেন্দা চা বাগানে পাল্টা দুটি চিতাবাঘকে বিষ মেশানো মাংস খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
চা বাগানের বসতি এলাকায় ঘনঘন চিতাবাঘের আক্রমণে বাসিন্দাদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছিল। এই অবস্থায় চিতাবাঘ-মানুষ সংঘাত রুখতে মাদারিহাটের বিভিন্ন চা বাগান এলাকায় খাঁচা পাততে শুরু করে বন দফতর। যারমধ্যে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছিল হান্টাপাড়া চা বাগানে। যার মধ্যে একটি খাঁচা পাতা হয়েছিল বাগানের নার্সারি সাইডে। সেই খাঁচাটিতেই এ দিন একটি চিতাবাঘ বন্দি হয়।
বন দফতরের লঙ্কাপাড়া রেঞ্জের আধিকারিক বিশ্বজিৎ বিষই বলেন, “হান্টাপাড়ায় অনেকদিন আগেই দুটি খাঁচা পাতা হয়েছিল। চিতাবাঘ বন্দি করতে খাঁচা দু’টিতে নিয়মিত টোপও দেওয়া হচ্ছিল। এ দিন সকালে বাগানে থাকা বন দফতরের স্বেচ্ছাসেবকরা নার্সারি সাইডের খাঁচাটিতে একটি চিতাবাঘকে বন্দি অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে বনকর্মীরা সেখানে ছুটে যান।” জলদাপাড়ার ভারপ্রাপ্ত ডিএফও নিশা গোস্বামী জানান, উদ্ধারের পরে চিতাবাঘটিকে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ বনকর্তারা জানিয়েছেন, এই বাঘটির আক্রমণে মাদারিহাট এলাকায় কারও মৃত্যু বা জখম হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল কি না তা জানতে পায়ের ছাপ সহ অন্য নানা বিষয় পরীক্ষা করে দেখা হবে৷
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদারিহাটের বিভিন্ন চা বাগান এলাকায় মোট ১৫টি খাঁচা পাতা হয়েছে৷ শেষ দুই মাসে ওই খাঁচাগুলির মধ্যে ধুমচিপাড়া চা বাগানে দুটি এবং রামঝোড়া চা বাগান ও বীরপাড়া থানার বড় হাওদাতে একটি করে চিতাবাঘ ধরা পড়ে৷ এ দিনের পরে সেই সংখ্যা বেড়ে হল পাঁচ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy