Advertisement
১১ মে ২০২৪

তৃণমূলের কর্মিসভা কোথাও সফল, ব্যর্থও

শনিবার ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মিসভা ডেকেছিল মালদহ তৃণমূল। লক্ষ্য একটাই, রাহুল গাঁধীর এ দিনের সভার পথে দলের ছোটবড় কোনও কর্মী ভুলেও যাতে পা না বাড়ান। কিন্তু তাতেও রাহুলের সভায় মানুষের ঢল আটকানো যায়নি।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
মালদহ শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯ ০৫:৩৩
Share: Save:

কড়া নির্দেশ সত্ত্বেও সার্বিক সাফল্য মিলল না। অনেক জায়গাতেই বিফলে গেল খোদ মন্ত্রী তথা দলীয় পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি। শনিবার ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মিসভা ডেকেছিল মালদহ তৃণমূল। লক্ষ্য একটাই, রাহুল গাঁধীর এ দিনের সভার পথে দলের ছোটবড় কোনও কর্মী ভুলেও যাতে পা না বাড়ান। কিন্তু তাতেও রাহুলের সভায় মানুষের ঢল আটকানো যায়নি।

অন্যদিকে, তৃণমূলের অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মিসভাতেই এ দিন কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল কম। লোকজনের অভাবে বেশ কিছু কর্মিসভা শুরুই হয়েছে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি দলের নির্দেশ অমান্য করে দলের কর্মীদের একটা অংশ বিভিন্ন এলাকা থেকে এ দিন রাহুলের সভায় গিয়েছিলেন। এ নিয়ে অবশ্য দলের কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। উল্টে তৃণমূলের দাবি, প্রতিটি কর্মিসভাতেই ভাল ভিড় হয়েছে। আগামী ২৫ তারিখ রাহুলের এ দিনের কলমবাগান মাঠেই পাল্টা রাজনৈতিক কনভেনশন করা হবে তৃণমূল জানিয়েছে।

অথচ এ দিন প্রতিটি কর্মিসভা সফল করতে কোথাও খাওয়ানো হল ডিম-ভাত, কোথাও ডাল-তরকারি। এর পরেও বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মিসভায় দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা হাজির হতে গড়িমসি করেছেন। অনেকে অনেক দেরিতে গিয়েছেন। ফলে অনেক জায়গায় কর্মিসভা শুরুই হয়েছে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে। চলতি সপ্তাহেই জেলা সফরে এসে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু একটি দলীয় বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাহুলের সভার দিন জেলার ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি করে কর্মিসভা করা হবে। বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে সেই সভা করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, রাহুলের ওই সভাস্থলে ২৫ মার্চ পাল্টা বর্ধিত রাজনৈতিক কনভেনশন করারও নির্দেশ দেন তিনি। এই কনভেনশনের প্রধান বক্তাই হবেন শুভেন্দু। সভায় অন্তত ৩০ হাজার কর্মী সমর্থক হাজির করানোরও লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অঞ্চল স্তরের ওই কর্মিসভাগুলিতে এ দিন সংশ্লিষ্ট ব্লকের দলীয় পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্বও পালা করে হাজির ছিলেন। ছিলেন সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধান উপপ্রধান থেকে শুরু করে, জেলা পরিষদের দলীয় সদস্যেরাও। বেশ কিছু সভায় আয়োজন করা হয়েছিল খাওয়াদাওয়ারও। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন চাঁচল ২ ব্লকের ধানগাড়া-বিষমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মিসভায় হাজির কর্মীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল ডাল-ভাত, ডিম-তরকারির। ধানগড়া রনঘাট হাইস্কুল মাঠে সেই সভা হয়েছিল। সভা শেষে পাত পেড়ে খাওয়ানো হয়। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এ দিন একাধিক অঞ্চল স্তরের ওই দলীয় সভাগুলিতে কর্মীদের চা-বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে। এদিকে, এ দিন দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে কর্মিসভা করার নির্দেশ থাকলেও বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে বিকেল ৪টের পর শুরু হয়েছে সভা। আবার পুরাতন মালদহের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মিসভা এদিন স্থানীয় একটি বাড়ির নিচতলায় বিকেল ৫টাতেও শুরু হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE