জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধকে কুড়ুলের কোপ দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত দুই। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের নন্দরপুর এলাকার ডোমরা পাড়া গ্রামে। মৃতের নাম গোবিন্দ সরকার (৬২)। আহত দু’জনের চিকিৎসা চলছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনার পর কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার।
মঙ্গলবার বিকেলে গোমরা পাড়ার বাসিন্দা গোবিন্দ সরকার নিজের জমিতে বাঁধাকপির চারা বুনতে গিয়েছিলেন৷ সেই সময় পাশের জমির মালিক প্রদীপ সরকার জমিতে আল কাটার কাজ করছিলেন। আল কাটতে কাটতে তিনি পাশের জমিতে চলে আসেন। এর প্রতিবাদ জানান গোবিন্দ। এর পরই দু’পক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয় এবং বচসা থেকে তুমুল মারপিট।
গোবিন্দ সরকারের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, পাশের জমির মালিক প্রদীপ সরকার, তাঁর ছেলেরা ও তাঁর স্ত্রী মিলে গোবিন্দকে বেধরক মারধর করেন। প্রতিবেশী প্রদীপের এক ছেলে কুড়ুল দিয়ে গোবিন্দের মাথায় কোপ দেয় বলে অভিযোগ। এরপর ঘটনাস্থল থেকে তারা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগকারীদের দাবি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন গোবিন্দের ছেলে হজেন্দ্র।
এলাকার বাসিন্দারা গোবিন্দকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্ত করার পরে গোবিন্দ সরকারের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের পরিবারের লোকেরা।
অভিযুক্তদেরও দু’জন এই ঘটনায় আহত। তাঁদের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের নাম প্রদীপ সরকার ও দীপক সরকার। আহত দু’জনের পালটা অভিযোগ, গোবিন্দ সরকারই তাঁদের উপর আক্রমণ চালায় এবং প্রাণ বাঁচাতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটে।
মৃতের ভাই বীরেন সরকার বলেন, ‘‘আমার দাদাকে ওরা চারজন মিলে খুন করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। ওদের শাস্তি চাই।’’
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মঞ্জু রায় বলেন, ‘‘আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। মৃত বৃদ্ধ খুবই শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তাঁকেও এ ভাবে খুন করা হল! আমরা চাই, পুলিশ উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিক।’’
কোতয়ালি থানার আই সি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, ‘‘ জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে একজনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হবে। এ ছাড়া, আরও দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তারা পলাতক। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy