জট: রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে টোটো। নিজস্ব চিত্র
একে যানজটে ওষ্ঠাগত প্রাণ। সঙ্গে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে জুটেছে ব্যাটারিচালিত টোটো। আর দিনে দিনে এই টোটোর সংখ্যা যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে যানজটের ফাঁস আরও পেঁচিয়ে ধরছে ময়নাগুড়িকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, ময়নাগুড়িতে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড না থাকায় রাস্তার উপরে বাস দাঁড়িয়ে থাকে। যেটুকু বা ফাঁক মেলে, যাত্রী তোলার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে টোটো। যার ফলে নড়ার জায়গা থাকে না। এমনকি, রাস্তা দিয়ে চলাচল করাও রীতিমতো মুশকিলের হয় েদাঁড়িয়েছে। আর এর জেরেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকে শহর। দীর্ঘ যানজটে তিতিবিরক্ত এলাকার মানুষ।
এই অবস্থায় যেখানে সেখানে টোটো দাঁড় না করানোর ব্যাপারে কিছুদিন আগে নির্দেশিকা জারি করেছিল ময়নাগুড়ি ট্রাফিক পুলিশ। ময়নাগুড়ির ট্র্যাফিক মোড়, ধূপগুড়ি বাস স্ট্যান্ড, দুর্গাবাড়ি মোড়, মৌচাক মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে সাইনবোর্ডও বসানো হয়েছে। এমনকি, সন্ধ্যার পরে আলো না জ্বালানোয় শহরের বেশ কয়েকটি টোটোকে এর আগে জরিমানাও করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, ওই নির্দেশিকা মানছেন না টোটো চালকেরা। ময়নাগুড়ির ট্র্যাফিক ওসি ফজরুল হক বলেন, ‘‘টোটোর দৌরাত্ম্য নিয়ে আমরাও চিন্তায় রয়েছি। তাই ব্লক প্রশাসনকে নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি বৈঠকে বসতে চলেছি টোটো সমস্যা সমাধানের জন্য।’’
এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, শহরের যে দিকেই চোখ যায়, শুধুই টোটো। পাড়া, ছোট গলি থেকে জাতীয় সড়ক, সব দিকেই টোটোর জন্য রাস্তায় যানজট হয়। যাত্রীর তুলনায় টোটোর সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে শহরবাসীকে। তার উপরে যাত্রী তুলতে রাস্তার যেখানে সেখানে টোটো দাঁড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন দুর্ঘটনাও লেগেই রয়েছে।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, ভোরের আলো ফোটা মাত্র রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে নানা রঙের টোটো। ময়নাগুড়ির বাসিন্দা পিনাকী সাহা বলেন, ‘‘প্রশাসনের উচিত টোটোর রুট ভাগ করে দেওয়া। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই শহরে নিজের খুশি মতো টোটো চলছে। নেই কোনও পার্কিংয়ের জায়গাও। ফলে ক্রমশ বাড়ছে যানজট।’’
স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও তৃণমূল নেতা মনোজ রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি উদ্বেগের। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy