বিজয়বর্গীয় ও শঙ্কর চক্রবর্তী (গোল করে চিহ্নিত)। নিজস্ব চিত্র
তাঁর বিরুদ্ধে বন্ধের দিন সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে একটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর সাত দিনের মধ্যে আদালত আত্মসমর্পণ করতে বলে। এর পর ২৭ ডিসেম্বর জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সে ব্যাপারে এখনও আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। তাই সেই থেকে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী।
কিন্তু আজ, শুক্রবার ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডারে মোদীর সভার আয়োজনের কাজে তাঁকে কয়েক দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে স্বাগত জানাতে অন্যে নেতাদের সঙ্গে তিনিও বাগডোগরায় যান। শিলিগুড়িতে ফিরে দলীয় নেতৃত্বের বৈঠকে যোগ দেন। ময়নাগুড়িতে গিয়ে সভার কাজ তদারকি করেন অন্য নেতৃত্বের সঙ্গে। আজ, শুক্রবার মোদীর সভায় তিনিও উপস্থিত থাকতে চান।
শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ মিথ্যে মামলা দিয়েছে। কয়েক মাস আগে বিজেরি ডাকা বন্ধের দিন রায়গঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বচসা হয়েছিল। পুলিশ সরকারি বাস ভাঙচুরের মিথ্যে মামলা দিয়েছে। জেলা আদালত সম্প্রতি জামিন নাকচ করায় উচ্চ আদালতে গিয়েছি। সেখানে শুনানি হয়ে গিয়েছে। তবে বিচারক কী নির্দেশ দেন সেই অপেক্ষায় রয়েছি।’’ জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরে এই সভায় থাকতে চাই। এমন সুযোগ বারবার আসে না। দলের অনেকেই জেলা থেকেও আসবেন। তাদের যাতে সমস্যা না হয় সেই বিষয়টিও সেখানে থেকে দেখতে হবে।’’
প্রধানমন্ত্রীর সভার কাজে শঙ্করবাবুকে যে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘আমরা নজর রাখছি।’’ তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি আদালত এবং পুলিশ প্রশাসনের বিষয়। তারাই যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। আমার বলার কিছু নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy