জেরা: শিলিগুড়ির সিআইডি-র দফতরে জুহি চৌধুরী এবং চন্দনা চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র
কোথায় নিয়ে গিয়েছিলেন চন্দনা চক্রবর্তীকে, দেখা করিয়ে দিয়েছিলেন কার কার সঙ্গে— বৃহস্পতিবার পিনটেল ভিলেজে জুহি চৌধুরীকে এই ধরনের প্রশ্ন করল সিআইডি। এবং দিনের শেষে পরে গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হল, জেরায় কয়েক জন প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে।
শিশু পাচার চক্রের দুই অভিযুক্ত চন্দনা ও জুহিকে এ দিন পিনটেল ভিলেজে বসিয়ে জেরা করেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, তাঁদের এ দিন একসঙ্গে বসানো হয়নি। দু’জনকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে সিআইডি মূলত জানতে চেয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে প্রভাবশালী কেউ জড়িত আছেন কি না। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, চন্দনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, জুহি বা তাঁর বাবা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী ছাড়া আর কোনও নেতা তাঁকে সাহায্য করেছিলেন কি না। একই সঙ্গে জুহি তাঁকে কারও কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, ২৬ জানুয়ারি জুহির বাড়িতে চন্দনা গিয়ে কী আলোচনা করেন ও ২ ফেব্রুয়ারি চন্দনা, জুহি আর রবীন্দ্রবাবু দিল্লি গিয়ে কার কার সঙ্গে বৈঠক করেন, তা জানতে চাওয়া হয়।
সিআইডি-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, জুহি তাদের কাছে স্বীকার করেছেন, কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলাতে চন্দনাকে তিনি দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে এই নিয়ে কোনও নামধাম এখনই বলতে চাইছে না রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। একই সঙ্গে তারা খতিয়ে দেখছেন চন্দনার হোমের সঙ্গে জুহির যোগসূত্রও।
সিআইডি সূত্রের খবর, গত ফেব্রুয়ারিতে হোমের কিছু লেনদেনের কাগজপত্র হাতে এসেছে। টাকার অঙ্কে যা সাড়ে ৪ লক্ষ। সেখানে দেখা গিয়েছে, চন্দনাদেবীর সংস্থার দুই কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভাগ করে ওই টাকা জমা পড়েছে। চেকে জমা পড়া টাকা জলপাইগুড়ি জেলার তিন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে এসেছে। ঘটনাচক্রে, ওই তিন জন জুহির অত্যন্ত পরিচিত বলেই সিআইডি-র দাবি। তাই নতুন কোনও হোম খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছিল কি না, তা-ও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।
সিআইডি-র বিরুদ্ধে জুহির সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন তাঁর আইনজীবী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy