উল্কি: রাসমেলায়। নিজস্ব িচত্র
লিয়োনেল মেসি থেকে বিরাট কোহালি— কেবল খেলার জন্যই নয়, আলোচনায় থাকেন তাঁদের শরীরে ট্যাটু বা উল্কির জন্যও। তেমন ট্যাটুতে এ বার মজেছে রাসমেলাও। তবে সেই ট্যাটু করা কতটা নিরাপদ প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই।
মেলার ট্যাটুশিল্পীরা এসেছেন মুর্শিদাবাদ-দার্জিলিং থেকে এসেছেন। প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ সেখান থেকে ‘ট্যাটু’ করাচ্ছেন। কিন্তু একই সূচে অনেকের ট্যাটু করা হলে বিপদ হতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এক সূচ ব্যবহার একদম ঠিক নয়। এমন নজরে পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।” সচেতন নন মেলায় আগতরাও। মাথাভাঙার বাসিন্দার রতন দে বলেন, “বহুদিন থেকেই ইচ্ছে ছিল ট্যাটু করার। মেলায় সে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছি। তবে সূচ ব্যবহারের বিষয়টি খতিয়ে দেখিনি। তেমন হলে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
আরও পড়ুন: হনুমানও ‘দলিত’! ত্রেতা যুগের বার্থ সার্টিফিকেট কলিতে দিলেন যোগী
অভিযোগ পৌঁছেছে প্রশাসন ও পুরসভার কাছেও। জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “এই বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এমন হলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুরসভার পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বৃহস্পতিবার থেকে মাইকিং করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যারা ওই ‘ট্যাটু’র পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন তাঁদেরও সতর্ক করার কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ বলেন, “আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে। চিকিৎসকদের কাছ থেকেও ওই ব্যাপারে বিপদের কথা আমরা জেনে নিয়েছি। রক্তের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়, এমন অনেক রোগ ছড়াতে পারে। মাইকিং করে সতর্কতার কাজ শুরু করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ‘মদ ঠিকই আছে, এই তো খাচ্ছি’
মুর্শিদাবাদ থেকে আসা ট্যাটুশিল্পী হামিদ লস্কর, মান্নান হোসেনরা অবশ্য বলছেন, “সারাদিনে দশ থেকে পনেরোজন ট্যাটু করছেন। আমি কিন্তু প্রত্যেকবার সূচ পাল্টে নিচ্ছি। সবারই এটা করার কথা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy