চর: জলদাপাড়ায় শুকিয়ে যাচ্ছে নদী। —নিজস্ব চিত্র।
গরমের শুরু। এরই মধ্যে জঙ্গলে শুরু হয়ে গিয়েছে শুখা মরসুম। জলদাপাড়ার হলং থেকে বক্সার বালা নদী, সর্বত্রই জল শুকিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। ফলে বন্য জন্তুদের জন্য আশঙ্কা জাগছে পরিবেশপ্রেমীদের মনে। জলের খোঁজে তারা লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে এলে চোরাশিকারীদের নাগালে পড়তে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
এপ্রিল মাসের শেষের দিকেই শুকিয়ে যাচ্ছে জঙ্গলের ঝোরা ও ছোট ছোট জলাধারগুলো। পরিবেশ প্রেমীরা জানান, শুধু জল খাওয়া নয় গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখতেও হাতি, গন্ডার, বাইসনরা নামে জলে। বিশেষ করে গন্ডাররা এই সময় কাদা মাখতে ভালসে। জলের আকাল শুরু হওয়ায় সমস্যা হবে।
জলদাপাড়া বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও ভাস্কর জেভি জানান, হলং শুকিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। তবে জঙ্গলের পাশে রয়েছে তোর্সা নদী। তা ছাড়া গন্ডারদের কাদা মাখার জন্য বেশ কিছু জায়গার মাটি গভীর ভাবে খোঁড়া হয়েছে। যাতে নীচ থেকে জল উঠে সেই জায়গায় কাদা হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কল্যাণ রাই জানান, বেশ কিছু জায়াগায় জলের অভাব রয়েছে। তবে বক্সায় পাম্প সেটের সাহাজ্যে কৃত্রিম জলাশয়গুলোয় জলের জোগান দেওয়া হচ্ছে। আরও বেশ কিছু কৃত্রিম জলাশয় তৈরির প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের চেয়ারম্যান অমল দত্ত জানান, যেখানে জলের স্রোত রয়েছে সেখানে বন্যপ্রাণীরা জড়ো হবে। এই সময়ের জন্য ওত পেতে থাকে শিকারীরা। তা ছাড়া বন্যপ্রাণীরা জলের খোঁজে লোকালয়ে এলে মানুষের সঙ্গেও সংঘাত ঘটতে পারে।
ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেশ বসু জানান, ভূমি ক্ষয়ের জন্য প্রাকৃতিক জলাধারগুলোর জলধারণ ক্ষমতা কমছে। বিশেষ করে জলদাপাড়া ও মহানন্দা জঙ্গলে জল সঙ্কট রয়েছে। আগামী দিনে এই সঙ্কট আরও বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy