Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মাঠপলশা কাণ্ডে ধৃত ৩, উদ্ধার অস্ত্র

স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার ক্ষমতাদখল ঘিরে ওই পঞ্চায়েত এলাকায় ব্লক সভাপতি সাবের আলি খানের অনুগামীদের সঙ্গে দলের জেলা কমিটির সদস্য সাধন মুখোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের।

সাঁইথিয়ার মাঠপলশা পঞ্চায়েত এলাকায় গ্রেফতার তিন।

সাঁইথিয়ার মাঠপলশা পঞ্চায়েত এলাকায় গ্রেফতার তিন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাইথিয়া কাঁকরতলা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:১৫
Share: Save:

তৃণমূলের সভায় হামলার অভিযোগে আগ্নেয়াস্ত্র সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে সাঁইথিয়ার মাঠপলশা পঞ্চায়েত এলাকায়।

পুলিশ জানায়, ধৃতদের বাড়ি মাঠপলসা গ্রামে। শেখ মইনুর, শেখ সানোয়ার এবং নূর মহম্মদ। শনিবার সকালে তাদের সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। আদালত দু’জনকে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এক জন জামিন পায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার ক্ষমতাদখল ঘিরে ওই পঞ্চায়েত এলাকায় ব্লক সভাপতি সাবের আলি খানের অনুগামীদের সঙ্গে দলের জেলা কমিটির সদস্য সাধন মুখোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। পঞ্চায়েতের আসন ভাগাভাগি এবং বোর্ড গঠন নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে।

তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, সাবের আলির অনুগামী হিসেবে পরিচিত অভিজিৎ সাহা প্রধান এবং সাধনবাবুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত মহম্মদ ইউনুস উপপ্রধান নির্বাচিত হন। দু’পক্ষের বিবাদের জেরে ওই পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন কোনও উপসমিতি তৈরি হয়নি। বিবাদ মেটাতে বিভিন্ন সময় হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে জেলা কমিটিকে। শুক্রবার ফের তা প্রকাশ্যে এসে পড়ে। রোঙাইপুরে সভার আয়োজন করেছিলেন সাধনবাবুর অনুগামীরা। সাধনবাবুও সেই সভায় হাজির ছিলেন। অভিযোগ, সাবের আলি গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকেরা সেই সভায় হামলা চালান। চেয়ার, সাউন্ডবক্স ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধর এবং বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সাধনবাবুর অনুগামীরা প্রায় ৪০ মিনিট পথ অবরোধ করেন৷ উপপ্রধান মহম্মদ ইউনুস ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দু’রাউন্ড গুলি সহ একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।

সাধনবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নয়। ওরা তোলাবাজ দুষ্কৃতী। আমাদের সভা বানচাল করতেই হামলা চালিয়েছে৷’’ সাবের আলি খানের পাল্টা দাবি, ‘‘ওরা আমাদের দলেরই কর্মী। মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। বিষয়টি জেলা কমিটিকে জানিয়েছি।’’ পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে, বড়রা গ্রামের একটি খামারবাড়ির পিছন থেকে কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করল কাঁকরতলা থানার পুলিশ। শনিবার সকালে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমা মিলেছে এলাকার বাসিন্দা অকবরের বাড়ির পিছনের দিকে। ঘটনার পরই বিশাল পুলিশ বাহিনী বাড়ি ঘিরে ফেলে। গত কয়েক দিন ধরে গোষ্ঠী বিবাদের জেরে উত্তপ্ত বড়রা গ্রাম। কে বা কারা বোমাগুলি মজুত করে রেখেছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কাঁকরতলা থানার পুলিশ। দুর্গাপুর থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়ক বাহিনী এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Sainthia Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE