Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ 

রবিবার ওই অঞ্চলের লালডাঙা মোড়ে বিজেপি ছেড়ে প্রায় ৯০০ কর্মী তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৪১
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনের সময় এই এলাকায় দাপিয়ে ভোট করেছিল বিজেপি। রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সেই নারায়ণপুর অঞ্চলে লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে তৃণমূলের থেকে ১৫২৩ ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। সেই নারায়ণপুরেই বিজেপি-তে বড় ধরনের ভাঙন ধরাল তৃণমূল। রবিবার ওই অঞ্চলের লালডাঙা মোড়ে বিজেপি ছেড়ে প্রায় ৯০০ কর্মী তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। রাজ্যের মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বিজেপি কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘কিছু মানুষ, যাঁরা আগে তৃণমূল করতেন, লোকসভা নির্বাচনে তাঁরা বিজেপি করেছিলেন। তাঁদেরই অনেকে ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে ফিরে এলেন।’’

এ দিন নারায়ণপুর অঞ্চলের খড়িডাঙ্গা, রনিগ্রাম, লালডাঙ্গা এলাকা থেকে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের নারায়ণপুর অঞ্চল সভাপতি মিলন শেখ জানান, এই অঞ্চলে ১৭টি সংসদ। লোকসভা ভোটে এর মধ্যে মাত্র ৪টি সংসদে দল জয়ী হয়েছিল। বাকি ১৩ টি সংসদে বিজেপি এগিয়েছিল। রবিবার যে দু’টি বুথ থেকে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেন, সেগুলির মধ্যে রনিগ্রাম বুথে মোট ৭২০টি ভোটের মধ্যে লোকসভা ভোটে তৃণমূল পেয়েছিল মাত্র ১৮৬ ভোট। বিজেপি-র ঝুলিতে যায় ৪২১টি ভোট। খড়িডাঙা, লালডাঙা বুথে মোট ৭৯৪টি ভোটের মধ্যে তৃণমূল পায় ১৫৭। বিজেপি পেয়েছিল ৬০০টি ভোট।

লোকসভা ভোটের ফল পর্যালোচনা করার পরে যে সমস্ত এলাকায় দলের হার হয়েছে, সেখানে দলের ব্লক নেতৃত্ব একাধিক বৈঠক করেন। পরবর্তীতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে এলাকায় রাত্রিবাসও করেন দলের নেতা-কর্মীরা। জনসংযোগও বাড়ানো হয়। মিলন শেখের দাবি, ‘‘লোকসভা ভোটের সময় কিছুটা হলেও এলাকায় মোদী-হাওয়া কাজ করেছিল। পরবর্তীতে এলাকার বিজেপি কর্মীরা বুঝেছেন, তৃণমূলই তাঁদের পাশে আছে। এলাকার উন্নয়নও তৃণমূল করছে, সেটা বুঝেছেন বিজেপি কর্মীরা। সেই কারণেই বিজেপি ছেড়ে এত জন আমাদের দলে এলেন।’’

এ দিন দলত্যাগীদের মধ্যে খড়িডাঙা গ্রামের চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘লোকসভায় এলাকায় বিজেপির হয়ে ভোট করেছিলাম। কিন্তু পরে প্রয়োজনে দলের নেতৃত্বকে পাইনি। বিজেপি-তে নেতৃত্ব দেওযার মতোও এখানে কেউ নেই। তাই তৃণমূলে ফিরলাম।’’ এই যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপি-র জেলা সহ-সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী দাবি করছেন, ‘‘এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা নানা রকম সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিজেপি কর্মীরা সেই সন্ত্রাস ও পুলিশি জুলুমের ভয়ে এখন তৃণমূলে যোগদান করলেও বিধানসভা ভোটের সময় জবাব দেবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP Rampurhat Loksabha election 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE