স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় স্কুল চত্বরে ময়লা আবর্জনা ফেলছেন এলাকার কিছু বাসিন্দা। কর্তৃপক্ষকে বার বার সাবধান করেও কোনও লাভ হয়নি। এমন অভিযোগ তুলে, প্রধান শিক্ষকের বদলি চেয়ে সোমবার সকাল থেকে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। ঘটনা মহম্মদবাজারের খয়ড়াকুড়ি আংশিক বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের। অভিযোগের সত্যতা উড়িয়ে দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন মন্ডল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ময়ূরাক্ষী নদীর তিলপাড়া জলাধারের উত্তরে খয়ড়াকুড়ি গ্রাম। এই গ্রামের প্রাথমিক স্কুলটিও বেশ পুরনো। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এলাকার ১০-১২টি গ্রামের একমাত্র স্কুল ছিল। বর্তমানে অবশ্য আশপাশের গ্রামে প্রাইমারি স্কুল গড়ে উঠেছে। তবে এলাকার প্রাচীন স্কুল হিসাবে খয়ড়াকুড়ি গ্রামের এই স্কুলটি এলাকার মানুষের কাছে এখনও সমান সমাদৃত।
অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, এহেন স্কুল চত্বরে গ্রামের কিছু বাসিন্দা নোংরা আবর্জনা, গরুর গোবরসার ফেলছেন বলে অধিকাংশ অভিভাবকের অভিযোগ। অভিভাবকদের পক্ষে বাপি ঘোষ, বাপন ঘোষ, শ্যামচাঁদ ঘোষ, পরিমল সাহারা বলেন, ‘‘এটি এলাকার প্রাচীন স্কুল। এই স্কুলকে নিয়ে আমাদের অনেক গর্ব। আগে বাউন্ডারিও ছিল না। কিন্তু স্কুল চত্বরে কেউ কোনওদিন আবর্জনা বা গো-সার ফেলত না। এখন বেশ কিছুদিন থেকে স্কুল চত্বরে কেউ বা কারা আবর্জনা ও গো-সার ফেলছেন। এমনকী স্কুল বাউন্ডারির মধ্যেও ছাই আবর্জনা পড়ে আছে। এবং তা ফেলছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগসাজস করে।’’ তাঁদের দাবি, ‘‘প্রধান শিক্ষককে নিষেধ করা সত্বেও তিনি গ্রামের কাউকে কাউকে স্কুলের গেটের চাবি দিয়ে যান। তাঁদেরই কেউ কেউ স্কুলের গেট খুলে ঘেরা জায়গার মধ্যে ওই সব নোংরা ফেলেন। এতে স্কুলের পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হচ্ছে।’’
স্কুল চত্বরে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও প্রধান শিক্ষকের বদলির দাবিতে এ দিন সকাল থেকে স্কুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে পঠন পাঠনের কোনও রকম ক্ষতি না করেই এই বিক্ষোভ করা হয়েছে বলে অভিভাবকদের দাবি।
মহম্মদবাজারের বিডিও সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই স্কুল চত্বরে ময়লা বা আবর্জনা ফেলা নিয়ে এ দিন অভিভাবকদের বিক্ষোভের কথা শুনেছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ প্রধান শিক্ষক অবশ্য স্কুলের ভিতরে আবর্জনা ফেলার অভিযোগ মানতে চাননি। তবে স্কুলের বাইরে আবর্জনা ও সার ফেলার ঘটনা সত্য বলে তিনি মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘পূর্ব দিকের মেন গেটের পাশে কয়েকজন আবর্জনা ফেলেন। উত্তর দিকের পুকুড় পাড়ে অনেকে মল ত্যাগ করেন, ফলে ওদিককার জানালা খোলা যায় না। বিডিও সাহেবকে জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy