জমিহারাদের আন্দোলনে বিনা প্ররোচনায় নির্বিচারে লাঠি চালানোর প্রতিবাদে শুক্রবার দিনভর ডিভিসি-র রঘুনাথপুর বিদ্যুত্ প্রকল্পের মূল গেটের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান চালিয়ে গেল আরটিপিএস ল্যান্ড লুজার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর জেরে এ দিন নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকল। তবে এ দিন ডিভিসির আধিকারিক ও কর্মীদের প্রকল্প এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয়নি জমিহারা কমিটি। প্রকল্পের অন্য একটি গেট দিয়ে তাঁরা ভিতরে ঢোকেন।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজে জমিহারাদের পরিবর্তে বাইরে থেকে শ্রমিক এনে কাজ করাচ্ছে একটি সংস্থা। এই অভিযোগ তুলে তাঁদের কাজে নিয়োগের দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রকল্পের বাইরে মূল গেট আটকে বিক্ষোভ অবস্থান করছিলেন জমিহারাদের ওই সংগঠনের সদস্যেরা।সেই সময়ে প্রকল্প এলাকায় ঢুকতে গিয়ে অবস্থানে আটকে পড়ে সিআইএসএফের এক পদস্থ কর্তা। অভিযোগ, তাঁরই নির্দেশে আন্দোলনকারীদের উপরে নির্বিচারে লাঠি চালায় সিআইএসএফ জওয়ানেরা। মাথা ফাটে কমিটির সহ-সভাপতি হরি টুডুর। জখম হন আর এক সদস্য। এ ছাড়াও অল্পবিস্তর চোট পান কমিটির সভাপতি-সহ ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে আবার তিনজন মহিলা। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসকের দফতরে ডিভিসির প্রতিনিধি, জমিহারা কমিটির সদস্যদের নিয়ে আলোচনায় বসেন মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অজয় সেনগুপ্ত ও এসডিপিও (রঘুনাথপুর) পিনাকী দত্ত। তবে ওই আলোচনায় সমাধান সূত্র বের হয়নি। এ দিন সকাল থেকে জমিহারা কমিটির শতাধিক সদস্য প্রকল্পের ঘুটিতোড়া গ্রামের দিকের মূল গেটের সামনে অবস্থান শুরু করে। কমিটির সভাপতি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, “সিআইএসএফের যে আধিকারিকের নির্দেশে বিনা প্ররোচনায় আমাদের উপরে লাঠি চালানো হয়েছে। তাঁকে অপসারিত করতে হবে। এ ছাড়াও ঘটনার দায় ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে স্বীকার করতে হবে।” পাশাপাশি বাইরে থেকে আনা শ্রমিকদের সরিয়ে জমিহারাদের কাজে নিয়োগের দাবিও এ দিন তুলেছে কমিটি। এ দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান চালাকালীন পুলিশ থাকলেও আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসেনি ডিভিসি বা জেলা প্রশাসন। তবে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ এ দিনও দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার সিআইএসএফ নয় আন্দোলনকারীদের উপরে লাঠি চালিয়েছে রাজ্য পুলিশ। যদিও পুলিশ ওই অভিযোগ মানতে চায়নি। জমিহারাদের কাজে নিয়োগের বিষয়ে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, প্রকল্পে যারা কাজ করছে তারা সকলেই জমিহারা। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে জমিহারাদের বিভিন্ন সংগঠন এসে তাদের কাছ থেকেই শ্রমিক নেওয়ার দাবি জানানোয় সমস্যা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy