ভিড়: সরাই ময়দানের জনসভা। নিজস্ব চিত্র
পুরুলিয়ার বিভিন্ন পঞ্চায়েতে এখনও বোর্ড গঠন না করার জন্য প্রশাসনকে দুষলেন বিজেপি নেতৃত্ব। শুক্রবার বলরামপুরের সরাই ময়দানে বিজেপির সভায় ওই প্রশ্ন তুলে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ তোলা হয়। সেই সঙ্গে বোর্ড গঠনের সময় গোলমালে জয়পুরে গুলিতে দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়েও পুলিশের সমালোচনা করা হয়।
ঘটনা হল, পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের জমিতে ভাগ বসিয়েছে বিজেপি। জঙ্গলমহল বলে পরিচিত বলরামপুর তো বটেই, জেলার শিল্পাঞ্চল রঘুনাথপুর মহকুমাতেও বিজেপি অনেকখানি জমি দখল করেছে। যদিও বোর্ড গঠনের আগে বেশ কিছু বিজেপির জয়ী জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায়, কিছু পঞ্চায়েতের ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে শাসকদল। তারপরেও অনেক পঞ্চায়েত ও কিছু পঞ্চায়েত সমিতিতে এখনও বোর্ড গঠন হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে দাবি করে প্রশাসন ওই সব ক্ষেত্রে বোর্ড গঠন পিছিয়ে দিয়েছে।
বিজেপির দাবি, প্রশাসন বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের ভাঙিয়ে আনার সময় তৃণমূলকে সময় দিতেই বোর্ড গঠন পিছিয়ে দিয়েছে। এ দিন সেই অভিযোগেই সরব হন উপস্থিত বিজেপি নেতারা। যদিও তা উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা দাবি করেন, ‘‘পুলিশ নিরাপত্তার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিলেই বোর্ড গঠন করা হবে।’’ ওই কর্তা শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি।
বিজেপির দাবি, কৌশলে প্রশাসন তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু, জনমত যে তৃণমূলের পাশ থেকে সরে এসেছে, এ দিনের সভার ভিড় তার ‘প্রমাণ’। বলরামপুরের তৃণমূলের প্রাক্তন গেঁড়ুয়া অঞ্চল সভাপতি অর্জুন গড়াই অনুগামীদের নিয়ে এ দিন বিজেপিতে যোগ দেন। ছিলেন মুকুল রায়, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, নরহরি মাহাতো, নির্মল কর্মকার, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy