মুখখোলা এই কুয়োতেই পড়েছিল বছর দশেকের বালক। দুর্ঘটনার পরে পাতলা প্লাস্টিকে ঢাকা হয় সেই গহ্বর। ফের বিপদের আশঙ্কায় থাকলেন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার সিউড়ি আদালত চত্বরে। —নিজস্ব চিত্র।
ভরা আদালত চত্বরে পরিত্যক্ত কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল বছর দশেকের এক প্রতিবন্ধী বালক।
শুক্রবার দুপুরে সিউড়ি আদালতের কাজ শিকেয় উঠল সেই খবরে। মুহুরী, আইনজীবী থেকে বিচারক সবাই ওই বালকের উদ্ধার নিয়ে যখন ব্যতিব্যস্ত তখন আদালতের কাছেই ডিউটিতে থাকা এক সিভিক ভলান্টিয়ার দড়ি ঝুলিয়ে নামলেন ফুট পঁয়তিরিশ গভীর ওই কুয়োর মধ্যে। নীচে নোংরা জলে হাবুডুবু খাওয়া ছেলেটিকে এক হাতে জাপটে ধরে দড়ি বেয়ে ফের উঠে আসার চেষ্টা করতে গিয়েই বাধল বিপত্তি। পুরনো কুয়োর মসৃণ এবং শ্যাওলা ধরা পিচ্ছিল দেওয়াল বেয়ে যতবারই ওঠার চেষ্টা করলেন হড়কে নেমে গেলেন নীচের দিকে। এদিকে কুয়োর চারপাশে তখন মানুষের ভিড়। কেউ দড়ি ধরে টানে তোলার চেষ্টা করছেন তো কেউ দমকলে ফোন করছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকল কর্মীরা সেখানে পৌঁছে যান। শেষ পর্যন্ত মই নামিয়ে উদ্ধার করা হয় শেখ সামিম নামে ওই বালক ও ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে।
ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের খোঁজ শুরু করলেও ততক্ষণে তিনি আদালত চত্বর থেকে চলে গিয়েছিলেন। পাড়ুই থানার যাদবপুরের বাসিন্দা সামিমের দিদা সালিনা বিবি বলেন, ‘‘আদালতে কাজে সামিমকে নিয়ে গিয়েছিলাম। ও ওর দাদুর সঙ্গে শৌচাগার থেকে ফেরার সময় ওই কুয়োয় পড়ে যায়। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার দেবদূতের মতোই এলেন, আমাদের নাতিকে উদ্ধার করে চলে গেলেন। নামটাও জানতে পারলাম না।’’
এদিকে আদালত চত্বরে বিপজ্জনক কুয়োটির সংস্কার হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালতের কর্মীরা। দু’মাস ধরে সংস্কারের জন্য বাঁশ লাগানো থাকলেও তবে কাজের কাজ হয়নি বলে দাবি আইনজীবীদের একাংশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy